বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশটািকে গিলে খাবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বেলন, বিএনপি বলে আমরা (আওয়ামী লীগ) লুট কছি, দুর্নীতি করছি। আরে হাওয়া ভবনে বসে লুটপাট কি আমরা করেছি। নাকি তারেক জিয়া করেছে। বিদেশে টাকা পাচার করেছে কারা? এই বিএনপি বর্গীর চেয়ে ভয়ঙ্কর। ওরা ক্ষমতায় গেলে পুরো দেশটাকে গিলে খাবে।

তিনি আজ শনিবার চট্টগ্রামের একটি কনভেনশন হলে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত চট্টগ্রাম-৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দীন আহমদের শোকসভায় একথা বলেন।

বিএনপির গলার জোর বেড়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন বিএনপির আন্দোলনের গতি কমেছে। আন্দোলনের গতি কমিয়ে বিএনপি নিরব পদযাত্রা করেছিল।  নিরব পদযাত্রা থেকে নিরীহ মানববন্ধন করছে তারা (বিএনপি)। বিএনপি মূলত নির্বাচনকে ভয় পায়। তাই তারা নির্বাচনে আসতে চায় না।

দলের ঐক্য আমাদের একমাত্র ভিত্তি জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই ঐক্য প্রতিষ্ঠায় পারস্পারিক ভুল বোঝাবোঝি এগুলো পরিহার করতে হবে। বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় আমাদের বিরুদ্ধে একটি চরম অপশক্তি দাড়িয়ে আছে যারা বাংলাদেশকে ও বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করেনা। তাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের আরেকটি ৭১ ছাড়া আর কোন পথ নেই।

তিনি আরও বলেন, স্বাভাবিকভাবে বুঝতে পারছি দলীয় সাংগঠনিক ক্ষেত্রে কিছু বিশৃঙ্খলা হচ্ছে। এমনকি হাইব্রিড ঢুকে গেছে। এদের কবল থেকে দলকে রক্ষা করতে হবে। আমাদের সদ্য প্রয়াত জননেতা মোসলেম উদ্দীন দলের মধ্যে ভিতরে ঢুকে পড়া হাইব্রিডদের নিয়ে ভাবতেন। আমি চাই এই হাইব্রীডদের কাছে দল কখনো যাতে আত্মসমর্পণ না করে।

ওবায়দুল কাদের বলেন,  তরুণ তুর্কীদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। যখন পত্র-পত্রিকায় দেখি দুইগ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা হচ্ছে। পত্র-পত্রিকায় দেখে আমরা লজ্জ্বা পাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অপকর্মের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। যারা অপরাধী তাদের শাস্তি দিচ্ছেন। আবরার হত্যায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের শাস্তি হয়েছে। শেখ হাসিনা কাউকে ছাড় দেননা।

প্রয়াত মোছলেম উদ্দিন আহমদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মোছলেম উদ্দিন দলের একজন নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। মৃত্যুর তিনদিন আগে ঢাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকাকালীন আমি দেখতে গিয়েছিলাম। তখন তিনি আমাকে বলেছিলেন-আমি চট্টগ্রামে যাবো। আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ অভিযান করবো।

এই স্মরণানুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিজিনিয়ার মোশারফ হোসেন চৌধুরী এমপি বলেন, মোসলেম উদ্দীন নামের দলের ভিতরে একটি আদর্শিক শৃঙ্খলা রচনা করেছেন। এর ভিত্তিতেই দলকে সুসংগঠিত করতে হবে। আমরা ভাবিনা আমাদের ভবিষ্যতের কথা। সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য সামনে অনেক প্রতিবন্ধকতা থাকে। এই প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে না পারলে আমাদের সকলের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।