আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যহত করতে বিএনপি-জামায়াত তাদের চিরাচরিত সন্ত্রাসী রুপে আবারও ফিরে এসেছে। রাষ্ট্রকে জিম্মি করে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে তারা। রোববার (২৯শে অক্টোবর) বিকেলে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি অনেকদিন ধরেই হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘শনি ও রোববারের হামলা বিএনপির পূর্বপরিকল্পিত৷ তারা অনেকদিন ধরেই হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কথা বলে আসলে বিএনপি তাদের রাজনীতির যে সন্ত্রাসী ধারা, সেই ধারা বাস্তবায়নে গোপনে প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তারা তাদের ভয়ংকর রাজনীতির ধারা, পুরোনো চেহারায় ফিরে আসার জন্য সময় নিচ্ছিল। সময়মতোই তারা তাদের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের পথ বেছে নিয়েছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তারা চ্যালেঞ্জ করেছে। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা মানে দেশের বিচার ব্যবস্থাকে অপমান করা।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, গত দুইদিন তারা কী করে নাই? বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে বিএনপি-জামায়াত জোট আবারও নৃশংস সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক আদর্শে বিশ্বাসী নয়। সুষ্ঠু স্বাভাবিক রাজনৈতিক পরিবেশকে তারা বিনষ্ট করছে৷ গতকাল নৃশংস হামলা চালিয়ে একজন পুলিশ সদস্যকে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, হাসপাতালে আগুন এগুলোই ছিল তারেক রহমানের টেকব্যাক।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, কামরুল ইসলাম, কর্নেল ফারুক খান, আবদুর রহমান, শাহজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম; সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আহমেদ হোসেন, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দি; উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।