আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নেতাদের মুখে দুর্নীতির বিরোধিতা বেমানান। কারণ তারা ক্ষমতায় থেকে নিজেরাই দুর্নীতি করেছে। আজ শুক্রবার (৩১শে মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামীলীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বর্তমান সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। কারা কী করছে প্রধানমন্ত্রীর কাছে খবর আছে। তাঁর অফিসেরও কিছু লোকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন।’

সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ ও সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজির আহমেদের মতো যারা দুর্নীতিগ্রস্ত আছেন, বিএনপি তাদের তালিকা করবে। এটি তারা করতে পারে কিনা, সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, লিস্ট করলে তো প্রথমে বিএনপি নেতাদের নাম লিখতে হবে। কারণ দুর্নীতি-লুটপাটের শিরোমণি তারা। বিএনপি নেতাদের নাম আগে আসবে। তারপরে অন্য লিস্ট দেখা যাবে।

বিএনপি ‘মানসিক অশান্তিতে ভুগছে’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জিয়াই (জিয়াউর রহমান) এদেশে দুর্নীতি, লুটপাট, গণতন্ত্র ধ্বংস, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ চেতনা, নিশ্চিহ্ন করা। মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনিকে নির্বাসনে পাঠানো, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নির্বাসনে পাঠানো এই সবকিছু যার হাতে তার পক্ষে বলার কিছু আমাদের কাছে নাই। সেবাদাস কে, কার? বঙ্গবন্ধুকন্যা কারো সেবা দাস নয়। এই কথা কেউ বলেনি। এখন তাদের মুখের বিষটাই হলো সবচেয়ে বড় করে আমরা দেখতে পাচ্ছি। তারা একরাশ ব্যর্থতার স্তুপের উপর দাঁড়িয়ে। তারা মানসিক অশান্তিতে ভুগছে। সে মানসিক অস্থিরতার মধ্যে সত্য কথা বলতে তারা ভুলে গেছে। এসব বিশ্বাস এদেশের জনগণ করে না।

আওয়ামী লীগ অনেক আজিজ, বেনজির তৈরি করেছে। এ দায় আওয়ামী লীগ এড়াতে এড়াতে পারে না। বিএনপির এমন দাবির প্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের মুখোমুখি হন কাদের। উত্তরে তিনি বলেন, বিএনপির গঠনতন্ত্র পড়েছেন? মির্জা ফখরুল কত বছর থাকতে পারে? ওবায়দুল কাদের আগামী বছর, এই ডিসেম্বরের পরের ডিসেম্বরে আমার টার্ম শেষ। সম্মেলন হবে, যথা সময়ে। মির্জা ফখরুল কত বছর ধরে তার গঠনতন্ত্রকে লঙ্ঘন করে বিএনপির মহাসচিব। একটা দল, তারা নিজেদের ঘরেই গণতন্ত্রের চর্চা করে না। তারা দেশে গণতন্ত্র কিভাবে প্রতিষ্ঠা করবে?

‘মির্জা ফখরুলের কি বৈধ অধিকার রয়েছে? তার গঠনতন্ত্র সে লঙ্ঘন করেছে। সম্মেলন ছাড়া মহাসচিব, কত বছর! সেটা আগে জিজ্ঞেস করেন,’ বলেন তিনি।

বেনজির আহমেদকে গ্রেফতার করা উচিত কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটার তো প্রক্রিয়া আছে। সে প্রক্রিয়ায় দুদক তদন্ত করছে। মামলার পর আদালত ঠিক করবে, কখন গ্রেফতার করবে, জেলে পাঠাবে। এটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে হবে।

গণতন্ত্র প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, আমরা যা আছি, আমরাই। আমরা আমাদের গণতন্ত্র নিয়ে আছি। পৃথিবীর অনেক দেশের চাইতে আমাদের গণতন্ত্র ঘরেও ভালো, বাইরেও ভালো।