বিএনপি যা-ই কিছু বলুক, শেষ পর্যন্ত তারা নির্বাচনে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বুধবার (৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এরই মধ্যে তারা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছে। কোথায় কত টাকা-পয়সা তারা দেবে, সবকিছুর খোঁজখবর আমাদের কাছে আছে। টাকার উৎসও আমরা জানি। শেষ পর্যন্ত তারা নির্বাচনে আসবে।’

বিএনপির আন্দোলন নিয়ে তিনি বলেন, তাদের আন্দোলনের মূল লক্ষ্য রাজনৈতিক সরকার পরিবর্তনের। বৈশ্বিক কারণে দেশ যে সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তা উত্তোরণ তাদের লক্ষ্য নয়। তাদের উদ্দেশ্য ক্ষমতায় যাওয়া। সেই পরিবর্তন কেবল নির্বাচনের মধ্য দিয়েই হবে।

বিএনপির আন্দোলনের অসারতার বিবরণ দিতে গিয়ে তিনি আফ্রিকার অর্থনৈতিক সংকটের উদহারণ সামনে নিয়ে আসেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এর মধ্যে আফ্রিকার দেশগুলোতে সংকট দেখা দিয়েছে। আজকে দেখুন সোমালিয়ায় প্রতি ৩৬ সেকেন্ডে একজন লোক মারা যাচ্ছে। কিন্তু সেখানে তো সরকার পতনের আন্দোলন হচ্ছে না। সেখানেও বিরোধীদল আছে। তারা সবাই জনমানুষের সমস্যা দূর করতে চায়। এটি তাদের অভিন্ন উদ্দেশ্য। কিন্তু বিএনপির সবকিছু তাদের বক্তব্যেই স্পষ্ট। তারা বলছে, সরকারকে পালাতে হবে, কেউ বলে লালকার্ড দেখাতে হবে। এসব তারা করছে, সরকার পতনের জন্য।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচন চায়। তাদের শর্ত সেটা হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন। অথচ যেটার কোনো অস্তিত্ব নেই। যেটা আদালত নাকচ করে দিয়েছে। কাজেই নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীন। এটি কোনো আজিজ মার্কা কমিশন না। এটির আইনগত ভিত্তি আছে। ভুলত্রুটি থাকলে তা দূর করে তারা ভবিষ্যতে আরও পারফেক্ট হবে। এই কমিশনের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় আপত্তির কোনো কারণ দেখছি না।

এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, আইএমএফের কাছ থেকে যে ঋণ নেয়া হবে, তাতে খুব কঠিন শর্ত থাকবে না। আন্দোলনের নামে বিএনপি ভেতরে ভেতরে আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।