আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রতিহিংসার রাজনীতির জনক হচ্ছে বিএনপি। বুধবার (দোসরা নভেম্বর) দুপুরে সেতু ভবনে ব্রিফিংকালে এসব বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে মুচলেকা দিয়ে পালানোর রাজনীতি।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় আওয়ামী লীগ বিশ্বাসী নয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৭৫–এর আগস্ট সাক্ষ্য দিচ্ছে, কারা প্রতিহিংসার রাজনীতি করে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা প্রমাণ করে কারা প্রতিহিংসার রাজনীতি করে। ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিএনপির এসব প্রতিহিংসার রাজনীতির বিপরীতে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাওয়ার প্রয়াসের নাম হচ্ছে আওয়ামী লীগ।
তিনি বলেন, আওয়মী লীগ সবাইকে নিয়েই ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাওয়ার রাজনীতিতে বিশ্বাসী। এসময় উদার রাজনীতির ধারা সৃষ্টি করতে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার উদারতার কথাও তুলে ধরেন।
সব কষ্ট ভুলে উদার রাজনীতির ধারা সৃষ্টি করতে চায় বলেই পুত্র বিয়োগের শোকে সান্ত্বনা দিতে খালেদা জিয়ার বাড়িতে ছুটে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপির নেতাদের এমন উদারতা স্মরণ করে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তখন কী অমানবিক আচরণ করেছিলেন আপনারা?’
বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে মুচলেকা দিয়ে পালানোর রাজনীতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুর্নীতি, লুটপাট, অপকর্মের জন্য এখন বিএনপির নেতাই নির্বাসনে, দেশে আসার সৎ সাহসও নেই।
সবকিছুতে সরকারের দোষ খোঁজা আর দায় চাপানো বিএনপির চিরকালের অভ্যাস ও সংস্কৃতি উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দুদকের মামলায় সস্ত্রীক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। এটি আইনগত প্রক্রিয়া। এখানে সরকারের কোন হস্তক্ষেপ নেই।
ওবায়দুল কাদের বিএনপির নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন নির্বাচনকে সামনে রেখে, তখনো কী ভাষায় জবাব দিয়েছিলেন আপনারা? তারপরও বিএনপির সঙ্গে দুদফা সংলাপে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি যখন আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করে, আওয়ামী লীগ তখন দেশের ও জনগণের স্বার্থে বিএনপিকে উদারতা দেখিয়েছে। খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে বাসায় থাকার ব্যবস্থা করেছে।