কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিদ্যুৎ এর দাম গ্রাহক পর্যায়ে বাড়ানোর কারণে কৃষকদের জীবন যাত্রার উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। কিন্তু এটা না করে সরকারের কাছে কোনো বিকল্প ছিলো না। আজ (বৃহস্পতিবার) নেদারল্যান্ডসের পাঁচ এমপিসহ রাষ্ট্রদূতের সাথে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, দুই মাসে বিদ্যুতের দাম ১৫ শতাংশ বাড়ানোর কারণে কৃষকদের কষ্ট হবে, উৎপাদনও কম হবে। কিন্তু সরকার বিদ্যুতের দাম না বাড়ালে পুরো অর্থনীতির উপর প্রভাব পড়তো।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের কৃষিপণ্য এবং ফল নিতে চায় নেদারল্যান্ডস। আম, আনারস রপ্তানি করা হবে দেশটিতে। সরকারের ডেল্টা প্ল্যান এগিয়ে নিতে টেকনিক্যাল এবং ফিন্যানসিয়াল সাপোর্ট দিবে দেশটি। এ বিষয়ে তাদের সাথে বিশদ আলোচনা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ না করলে এভাবে মাসে মাসে বিদ্যুতের দাম বাড়ত কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আইএমএফতো সারের দামও বাড়াতে বলে। সারে যে ভর্তুকি দিই, সেটিইতো আইএমএফ-ওয়ার্ল্ড ব্যাংক মানে না। তারা সারা জীবন বাধা দিয়ে আসছে। বিএনপির সময় ৯০ টাকা যে সার ছিল, আমরা ১৬ টাকায় দিয়েছি। আইএমএফ-ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের কথা শুনতে গিয়ে অনেককেই বেশি মূল্য দিতে হয়েছে। তখনতো প্রধানমন্ত্রীর ওপর অনেক চাপ ছিল। তারা বলত, সারে ভর্তুকি দিলে তোমরা উন্নয়ন করবে কীভাবে? তাহলে স্কুল-কলেজ ও রাস্তাঘাটের কী হবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা ভর্তুকি দিচ্ছি না, বিনিয়োগ করছি। আমরা সেই বিনিয়োগের ফল পাচ্ছি।’

খালেদা জিয়ার রাজনীতি করতে কোনো বাঁধা নেই জানিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, খালেদা জিয়া ইলেকশনে যেতে পারবেন না, আইনের কারণে। কিন্তু তার রাজনীতি করতে কোনো বাঁধা নাই। প্রকৃত রাজনৈতিক নেতাকে জেল দিয়ে রাজনীতি বন্ধ করানো যাবে না। সারা পৃথিবীতে তো বিদ্রোহী ও বিপ্লবীরা এভাবেই রাজনীতি করেছেন। তাই যে যেটাই বলুক আমি বুঝেশুনেই এই মন্তব্য করেছি।