বাংলাদেশে নিযুক্ত সব দেশের রাষ্ট্রদূতদের একই ধরনের নিরাপত্তা সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এজন্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও আরবের মিশন প্রধানরা ঢাকায় যে বিশেষ প্রটোকল পেতেন তা আর পাবেন না। এছাড়া বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা পতাকা উড়িয়ে চলাচল করতে পারবেন না বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে চিঠির মাধ্যমে সম্প্রতি দূতাবাস ও পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। সোমবার (১৫ মে) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাস্তা-ঘাটে চলার জন্য কয়েকটা দেশকে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স দেওয়া হচ্ছে। উন্নত দেশে এটা দেওয়া হয় না। আমেরিকা, ইইউ, সৌদি আরবে এ সুবিধা দেওয়া হয় না। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর কাউকে এ সুবিধা দেব না।

হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো, এমন প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, সম্প্রতি আরও অনেকে এ সুযোগ চাচ্ছিলেন। এটা একটা প্রেস্টিজের বিষয়। আমাদের এত সম্পদ নেই যে, জনগণের ট্যাক্সের পয়সা দিয়ে সবাইকে বাড়তি প্রটোকল সুবিধা দেব। ৫৮ জন সবাই চান এ সুযোগ। আমরা এটা দিতে পারছি না। যার জন্য আমরা ঠিক করেছি কাউকে আর এ সুবিধা দেওয়া হবে না।

মোমেন বলেন, তবে আমরা শর্ত দিয়েছি, যদি কেউ নিতে চায়-তাহলে তিনি ভাড়া করতে পারবেন। বিদেশে এ সিস্টেম আছে। আমাদের সিকিউরিটি ফোর্স দরকার। মেট্রোরেল হয়েছে, পদ্মা সেতু হয়েছে; আমাদের নিজেদের নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তাও বেড়ে গেছে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে আইন শৃঙ্খলা উন্নত। এখানে রাস্তাঘাটে কেউ কাউকে গুলি করে মারে না, গাড়ি আটকে মারে না। তাই আমরা মনে করি এগুলোর প্রয়োজন নেই। এটা রাখতে গেলে অনেকের মনে কষ্ট হয়। সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়টি গত সপ্তাহে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মিশনগুলোকে অবগত করা হয়েছে।

কবে নাগাদ এ নির্দেশনা কার্যকর হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা আমি বলতে পারব না। পুলিশ প্রশাসন এটা বলতে পারবে।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এ ধরনের সিদ্ধান্ত এসেছে।

যদিও প্রটোকল প্রত্যাহারের বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি বলে দাবি করেছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রটোকল প্রত্যাহারের বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি। বিদেশি মিশনসমূহের রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনারের প্রটোকল এখনো আছে।