বর্ষার পানিতে তিস্তা নদীর উজানে আচমকা ফুলে ফেঁপে উঠল। রাতভর বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদী, জলঢাকা, ডায়না নদীতে পানি ক্রমশই বাড়ছে। ঢলের পানির চাপ কমাতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেটের সবগুলো খোলা রাখা হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ৬টায় পানির লেভেল রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ১৮ মিটার। যা বিপদসীমার দশমিক ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ফলে বাংলাদেশ অংশে গতকাল সোমবার (৪ জুলাই) দিবাগত রাত ১০ টার দিকে নদীর তীরবর্তী এলাকাজুড়ে সতর্কতা জারি করে মাইকিং করেছেন উপজেলা প্রশাসন।
লালমনিরহাটে তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় চর ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়েছে। পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে রাস্তাঘাট ও আমন বীজতলা। রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় নৌকায় যাতায়াত করছেন খুনিয়াগাছ গ্রামের বাসিন্দারা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, লালমনিরহাটে ধরলার পানিও বাড়ছে। কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার, গঙ্গাধর, তিস্তা ও ধরলার পানি বাড়ছে।
এদিকে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের কালিগঞ্জ, ঝারসিংহেরস্বর, টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের উত্তর খড়িবাড়ী, দক্ষিণ খড়িবাড়ী, পূর্ব খড়িবাড়ী, খালিশা চাপানী ইউনিয়নের ছোটখাতা, বাইশপুকুর, ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের ছাতুনামা, পূর্বছাতুনামা, কেল্লাপাড়া মৌজা ও জলঢাকা উপজেলা গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ি, স্পার বাঁধ এলাকাসহ প্রায় ২০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে রয়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের মেকার্নিক্যাল বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আসিফুর রহমান জানান, সন্ধ্যা ৬টায় পানি প্রবাহিত হয়েছিল ৫১ মিটার ৯৫ সেন্টিমিটার কিন্তু রাত ১০ টার প্রায় নদীর পানি বিপদসীমা ছুঁইছুঁই। আজ সকাল ৬ টায় বিপদসীমা অতিক্রম করে ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।