থাইল্যান্ডে বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকনোমিক কোঅপারেশনের (বিমসটেক) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।

এর আগে তিনি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) সৌরভ কুমারের সঙ্গে বৈঠক করেন।

ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশ বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান এবং ভারত মহাসচিবের দায়িত্ব নেবে। এ ছাড়া ১৭ জুলাই বিমসটেকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হবে।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ভারতের লিড এরিয়া সিকিউরিটি রিলেটেড ও বাংলাদেশের বাণিজ্যিক বিষয়গুলো গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ যেহেতু বিমসটেক সচিবালয় পরিচালনা করে থাকে তাই বিমসটেকের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ-ভারতের আলাপের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। বর্তমান সেক্রেটারি জেনারেল ভুটান, তার টার্ম শেষ হবে ৫ নভেম্বর। এর পরের টার্ম ভারতের। তারাও পরবর্তী সেক্রেটারি জেনারেল ঠিক করছেন। একদিকে তারা সেক্রেটারি জেনারেলশিপ নেবেন, অন্যদিকে বাংলাদেশ চেয়ারম্যানশিপ নেবে ডিসেম্বরের দিকে।
 
তিনি বলেন, বিমসটেকের রোড ও রেলের বাইরে বিদ্যুতের গ্রিড কানেকটিভিটি বাড়াতে চাই। আমরা যে বিমসটেক ফ্রি ট্রেড করতে চাই, সেটি কেন হচ্ছে না তা নিয়ে আমরা আলোচনা করতে চাই। আগামীতে বাংলাদেশ চেয়ারম্যান হলে ব্যবসায়ীদের নিয়ে কীভাবে কাজ করতে পারি, সেটি গুরুত্ব দেয়া হবে। বিমসটেকের দেশগুলোর মধ্যে মানি লন্ডারিং, ড্রাগ ট্রাফিকিং প্রতিরোধে সহযোগিতা বাড়াতে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
 
উল্লেখ্য, আগামী ১৭ জুলাই থাইল্যান্ডে বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর জোট বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকনোমিক কোঅপারেশনের (বিমসটেক) মন্ত্রিপর্যায়ের বৈঠক হবে।