ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল আগামী ৭ অক্টোবর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তীয় টার্মিনাল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে আরো একধাপ এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। বেবিচক সূত্র জানায়, থার্ড টার্মিনাল চালু হলে বিমানবন্দরের সক্ষমতা বাড়বে আড়াই গুণ। ফলে তিনটি টার্মিনাল দিয়ে বছরে শাহজালালের যাত্রী পারাপারের সক্ষমতা ৮০ লাখ থেকে বেড়ে দুই কোটি ২০ লাখে দাঁড়াবে। বাংলাদেশের অর্থনিতি এগিয়ে যাবে প্রায় ৩৭ ভাগ।
বিশ্বের সকল বিমানের মিলনমেলায় পরিনত হবে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এরি মধ্যে তৃতীয় টার্মিনালকে কেন্দ্র করে ঢাকা থেকে বিশ্বের ৩১ টি নতুন এয়ারলাইন্স তাদের ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এয়ারলাইন্সগুলো হলো-
1. Lufthansa Airlines ( Germany)
2. ITA Airways ( Italy)
3. Swiss Air ( Switzerland)
4. virgin Atlantic ( UK)
5. British Airline ( UK)
6.American Airlines ( USA)
7. Cyprus Air ( Cyprus)
8. Finn Air ( Finland)
9. Royal Brunei Air ( Brunei)
10. Japan Airlines ( Japan)
11. Korean Air ( South Korea)
12. Azur Air ( Russia)
13.Air Canada ( Canada)
14. ANA air ( Japan)
15.Qantas Airlines ( Australia)
16. Spirit of Australia Airlines ( Australia)
17.Air France ( France)
18. United Air ( USA)
20.Alaska Air ( Alaska)
European Airlines list
21. Wiss air ( Hungary)
22.KLM ( Netherlands)
23.Pegasus Airlines
24. Eurowings Airlines
25.EsyJet
26.LOT polish Airlines ( Poland)
27.Danish Air ( Denmark)
28. Greece Air ( Greece)
29. Austrian Airlines ( Austria)
30. TAROM Air ( Romania)
31.SAS Airlines ( Sweden)
শাহজালালে বর্তমানে দুটি টার্মিনাল রয়েছে। এই দুটি টার্মিনাল এক লাখ বর্গমিটার জায়গার ওপর। তৃতীয় টার্মিনালটি বর্তমান দুটি টার্মিনালের দ্বিগুণের বেশি। দুই লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার এলাকা। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয় এই থার্ড টার্মিনাল নির্মাণকাজ। জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা জাইকার অর্থায়নে প্রায় ২১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে এই থার্ড টার্মিনাল নির্মাণে।
এভিয়েশন ঢাকা কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে জাপানের মিত্সুবিশি ও ফুজিটা এবং কোরিয়ার স্যামসাং এই তিনটি প্রতিষ্ঠান থার্ড টার্মিনাল ভবন নির্মাণকাজ করছে। থার্ড টার্মিনালের নকশা করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন স্থপতি রোহানি বাহারিন, যিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনালের নকশা করে বিশ্বে খ্যাতি কুড়িয়েছেন।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, থার্ড টার্মিনালে মোট ৩৭টি অ্যাপ্রোন পার্কিং থাকবে। অর্থাৎ একসঙ্গে ৩৭টি উড়োজাহাজ পার্ক করা যাবে।
শাহজালাল বিমানবন্দরে প্রতিদিন প্রায় ৩০টি এয়ারলাইন্সের ১২০ থেকে ১৩০টি ফ্লাইট ওঠানামা করে। এসব ফ্লাইটের ১৯ থেকে ২১ হাজার যাত্রী প্রতিদিন এই বিমানবন্দর ব্যবহার করেন। হজ বা বিশেষ সময়ে যাত্রীর চাপ আরও বেড়ে যায়।
এই যাত্রীদের মানসম্মত সেবা দিতে বিমানবন্দরের বর্তমানে চালু থাকা দুটি টার্মিনাল যথেষ্ট নয়। যে কারণে নতুন টার্মিনাল করা হচ্ছে বিমানবন্দরের মূল টার্মিনালের দক্ষিণ পাশে।
২১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পের কাজ ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর শুরু হয়। গত ফেব্রুয়ারিতে কাজ পরিদর্শনে গিয়ে চলতি বছরের অক্টোবরেই তৃতীয় টার্মিনাল চালুর কথা জানিয়েছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।
বেবিচক চেয়ারম্যান মঙ্গলবার বলেন, “এরই মধ্য ৮২ শতাংশ কাজ সম্পাদিত হয়েছে। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল সফট ওপেনিং এর আগে ৯০ শতাংশ কাজ শেষ করব। আমরা আশা করছি আমাদের পরিকল্পনা মাফিক কাজ শেষ হবে।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কাজ শেষের পথে
“মহামারীর সময়েও এখানে কাজ থামেনি। ১১ থেকে ১২ হাজার লোক কাজ করে যাচ্ছে দিন-রাত। তবে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অর্থনৈতিক প্রক্রিয়া কিছুটা ধীর গতিতে হয়েছে। যার কারণে বন্দরে অতিরিক্ত সময় লাগছে।
মফিদুর রহমান বলেন, “আমরা প্রথম দেখেই ৭০০ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছিলাম। আমাদের প্রকল্পের নির্ধারিত ছিল বারোটি বোর্ডিং ব্রিজ। সাশ্রয় করা টাকা দিয়ে আরও কয়েকটি বোর্ডিং ব্রিজ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।”

পুরনো দুটো টার্মিনালের বছরে ৮০ লাখ যাত্রীকে সেবা দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “টার্মিনাল পুরোপুরি চালু হলে সব মিলিয়ে বছরে ২ কোটি ৪০ লাখ যাত্রীকে সেবা দেওয়া যাবে।”