রাষ্ট্রীয় সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হচ্ছে ফ্রান্সের উড়োজাহাজ নির্মাণ সংস্থার তৈরি নতুন ১০টি এয়ারবাস।সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় সফররত ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর উপস্থিতিতে এ বিষয়ে এয়ারবাসের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে।
বিমান এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ নির্মাতা কোম্পানি বোয়িংয়ের কাছ থেকে নতুন ১২টি উড়োজাহাজ ক্রয় করেছিল। বিমান কর্তৃপক্ষ বলছে, আস্তে আস্তে তারা এয়ারবাস ও বোয়িংয়ের মাধ্যমে শক্তিশালী বহর তৈরি করতে চাচ্ছে।
বিমানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজিম বলেন, প্রাথমিকভাবে একটি এমওইউ সই হবে। এরপর কীভাবে বিমানগুলো কেনা হবে, সে বিষয়ে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের জন্য দুদেশের সঙ্গে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি কাজ করবে। সবকিছু চূড়ান্ত হওয়ার পরই চুক্তি হবে।
জানা যায়, যাত্রীসেবার মানোন্নয়নে এয়ারবাসের কাছ থেকে ১০টি উড়োজাহাজ কেনার প্রক্রিয়া বেশ আগেই শুরু করেছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এতদিন এ নিয়ে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। ফ্রান্সের এই নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে এ৩৫০ মডেলের উড়োজাহাজ জি-টু-জি পদ্ধতিতে কেনা হবে। এ লক্ষ্যে বিমান কার্যালয় বলাকায় গত মাসের শুরুতে বিমানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এয়ারবাসের দক্ষিণ এশিয়া কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
বিমান সূত্র জানায়, এয়ারবাসের উড়োজাহাজ কেনার প্রস্তাব বিমানের পরিচালনা পর্ষদের সভায় ৩ মে অনুমোদন পেয়েছে। এরপর ৬ মে লন্ডনে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে এ সংক্রান্ত যৌথ ঘোষণা সই হয়। পরে জানানো হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে এয়ারবাস থেকে আটটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ কিনবে বিমান। পরবর্তী সময়ে আলোচনা সাপেক্ষে আরও দুটি মালবাহী (কার্গো) উড়োজাহাজ কেনা হবে।
বৈঠক সূত্র জানায়, ২০২৬ সালে দুটি এয়ারবাস বহরে যুক্ত হবে। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে আসবে। এখন ক্রয় পদ্ধতি, দাম, অর্থের উৎসসহ নানা কারিগরি বিষয় যুক্ত করে একটি প্রোফাইল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠাবে।
এয়ারবাস হলো পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারী সংস্থা। কোম্পানিটি বাণিজ্যিক উড়োজাহাজের নকশা, নির্মাণ ও বিপণনের কাজ করে থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশ বিমানের বহরে ২১টি উড়োজাহাজ রয়েছে। এর মধ্যে বোয়িংয়ের ১৬টি এবং পাঁচটি ড্যাশ-৮। নতুন ১০টি এয়ারবাস যুক্ত হলে বিমানের বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়াবে ৩১টি।