রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি পাঁচজন রোগীর অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন। শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টায় ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক নাসির উদ্দীন।

তিনি বলেন, আজ শুক্রবার আরও দুজন দগ্ধ শিক্ষার্থী মারা গেছেন। বর্তমানে হাসপাতালে ৪০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা ক্রিটিক্যাল, এবং তারা আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। এছাড়া সিভিয়ার অবস্থায় রয়েছেন ১০ জন এবং ইন্টারমিডিয়েট ক্যাটাগরিতে আরও ১০ জনকে রাখা হয়েছে। বাকিরা কেবিনে ভর্তি আছেন।

তিনি বলেন, একটি ভালো খবর যে কয়েকজনকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল, তাদের থেকে আজ দুজনের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তাদের ভেন্টিলেটর খুলে ফেলা হয়েছে। তারা নিজে নিজে শ্বাস নিতে পারছেন। শনিবার (২৬ জুলাই) চার থেকে পাঁচজন রোগীকে আমরা ছুটি (ছাড়পত্র) দিতে পারবো। প্রতিদিনই কিছু রোগীকে ছুটি দিতে পারবো বলে আশা করছি।

বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক বলেন, আজ সিঙ্গাপুর, চীন ও ভারতের চিকিৎসক দল আমাদের সঙ্গে এসব রোগীর চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা নিয়ে বৈঠক করেছেন। তারা রোগীদের দেখেছেনও। আজ যে দুজন মারা গেছে, আমি নিজে উপস্থিত থেকে তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি। এদের একজন আইমানের বাড়ি শরীয়তপুরে। উত্তরায় জানাজা শেষে মরদেহ শরীয়তপুরে দাফন করা হবে। সেখানে আমাদের সিভিল সার্জনকে জানিয়ে দিয়েছি। তিনি দাফনের ব্যবস্থা করবেন। আরেক শিশু মাকিনের বাড়ি গাজীপুরে। এ ব্যাপারে গাজীপুরের সিভিল সার্জনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি মাকিনের মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করবেন।

গত সোমবার দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিধ্বস্ত হয় বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান। এতে ওই যুদ্ধবিমানের পাইলট, স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকসহ ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ৫০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনায় সবশেষ মাকিন (১৪) নামে এক শিক্ষার্থী মারা গেছে। সে মাইলস্টোন স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। সে আজ দুপুর ১টা ৫ মিনিটের দিকে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।