বিয়ে এবং তালাক নিবন্ধনের ফি বেড়েছে। মুসলিম বিয়ে ও তালাক নিবন্ধন (বিধিমালা), ২০০৯ সংশোধন করে ফি বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে নিকাহ রেজিস্ট্রারের (কাজী) লাইসেন্স ফি এবং বার্ষিক ফিও বেড়েছে। ‘মুসলিম ম্যারেজেস অ্যান্ড ডিভোর্সেস (রেজিস্ট্রেশন) অ্যাক্ট, ১৯৭৪’-এ দেওয়া ক্ষমতা বলে (গত ২১শে ডিসেম্বর) আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ বিধিমালা সংশোধন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
সংশোধিত বিধিমালা অনুযায়ী, এখন একজন নিকাহ রেজিস্ট্রার পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত দেনমোহরের ক্ষেত্রে প্রতি এক হাজার টাকা বা এর অংশ বিশেষ দেনমোহরের জন্য ১৪ টাকা হারে বিয়ের নিবন্ধন ফি আদায় করতে পারবেন। দেনমোহরের পরিমাণ পাঁচ লাখ টাকার বেশি হলে পরে প্রতি এক লাখ টাকায় বা এর অংশ বিশেষের জন্য ১০০ টাকা নিবন্ধন ফি আদায় করা যাবে। তবে কোনো অবস্থাতেই দেনমোহরের ফি ২০০ টাকার কম হবে না।
আগে চার লাখ টাকা পর্যন্ত প্রতি এক হাজার টাকা দেনমোহর বা এর অংশ বিশেষের জন্য ১২ টাকা ৫০ পয়সা হারে বিয়ের নিবন্ধন ফি আদায় করতে পারতেন কাজী। একজন নিকাহ রেজিস্ট্রার তালাক নিবন্ধনের জন্য ৫০০ টাকা ফি নিতে পারতেন। এখন তা বেড়ে এক হাজার টাকা হয়েছে। নিকাহ রেজিস্ট্রারের লাইসেন্স ফি সিটি করপোরেশন এলাকায় ১০ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ২০ হাজার টাকা হয়েছে।
কাজীর লাইসেন্স ফি জেলা সদরে অবস্থিত পৌরসভা এলাকায় দুই হাজার টাকা থেকে বেড়ে চার হাজার টাকা, জেলা সদরের বাইরে অবস্থিত পৌরসভা এলাকায় ৭০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা এবং ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার ক্ষেত্রে ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার টাকা করা হয়েছে।
এখন লাইসেন্সপ্রাপ্ত নিকাহ রেজিস্ট্রারকে প্রতি বছরের (৩১শে মার্চের) মধ্যে সিটি করপোরেশন এলাকার ক্ষেত্রে ১০ হাজার, জেলা সদরে অবস্থিত পৌরসভা এলাকার ক্ষেত্রে দুই হাজার টাকা, জেলা সদরের বাইরে অবস্থিত পৌরসভা এলাকায় এক হাজার টাকা এবং ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষেত্রে ২০০ টাকা বার্ষিক ফি সরকারকে দিতে হবে। আগে এ ফি ছিল যথাক্রমে পাঁচ হাজার, এক হাজার, ৫০০ ও ১০০ টাকা।
এছাড়া এখন থেকে নতুন হারে নিকাহ রেজিস্ট্রারের আদায় করা ফি থেকে প্রতি অর্থবছরের জন্য পরবর্তী অর্থবছরের ১৫ই জুলাইয়ের মধ্যে বিয়ের নিবন্ধন ফি সরকারকে জমা দিতে হবে।