বিজেপির বিরুদ্ধে জোট বেঁধে সংখ্যাগরিষ্ঠতায় না পৌঁছলেও বেশ সাফল্য পেয়েছে ইন্ডিয়া শিবির। ২৪০টির কাছাকাছি আসন জিতে সরকার গড়ার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল ইন্ডিয়া জোট। রাজনৈতিক মহলে এই আলোচনাও শুরু হয়েছিল যে চন্দ্রবাবু এবং নীতীশ কোন দিকে থাকবেন।

বুধবার ইন্ডিয়া জোটের শরিকদের বৈঠকে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সূত্রের খবর ইন্ডিয়া জোটের শরিক দলগুলি মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা সরকার গঠনের কোনও চেষ্টা করবে না, বিরোধী আসনেই বসবে। তবে অন্যান্য দলের জন্যও ইন্ডিয়া জোটে যোগদানের রাস্তা খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন খড়্গে।

বৈঠকে কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট মল্লিকার্জুন খড়্গে বলেন, “মোদির নেতৃত্বের বিজেপির ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে ইন্ডিয়া শিবির। বিজেপির সরকারে প্রতি মানুষের অবস্থান বুঝে ঠিক সময়ে আমরা পদক্ষেপ করব”।

লোকসভার ফল প্রকাশের পরের দিন নয়াদিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে হাজির ছিলেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, আপ নেতা রাঘব চড্ডা, সমাদবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব প্রমুখ।

বৈঠকের শেষে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, “জোটের শরিক দলগুলিকে সমর্থনের জন্য মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ইন্ডিয়া। জনতার রায় বিজেপির ঘৃণা, দুর্নীতি এবং বঞ্চনার রাজনীতির বিরুদ্ধে যোগ্য জবাব দিয়েছে। এটা রাজনৈতিক এবং আদর্শগত ভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পরাজয়”।

এ বারের ভোটে একার শক্তিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। ৪০০ পার তো দূর অস্ত, এনডিএ ৩০০-র গণ্ডিই পেরোতে পারেনি। তবে সরকার গঠনের সংখ্যা তাদের হাতে রয়েছে। এনডিএ-র বৈঠকেও স্থির হয়েছে, তারা সরকার গঠনের দাবি জানাবে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং অন্ধ্রপ্রদেশের ভাবী মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডুর সমর্থনে মোদিই প্রধানমন্ত্রী হবেন। সব কিছু ঠিক থাকলে শনিবারই শপথ নিতে পারেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে দায়িত্বশীল বিরোধী হিসাবেই এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ইন্ডিয়া।