সময়ের হিসেবে বাকি আছে আর মাত্র মাস তিনেক। তবুও মরুর বুকে যেন আলোকচ্ছটা। উদ্ভাসিত চারপাশ। ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’কে বরণ করে নিতে অপেক্ষায় তাবদ দুনিয়া। আগ্রহের কেন্দ্রে কাতারের শৈল্পিক স্টেডিয়ামগুলো। ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর ঘিরে ইতিমধ্যে পুরো বিশ্বে উন্মাদনা শুরু হয়েছে। আগের ২১ আসরের চেয়ে সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিশ্বকাপও এটি। কাতারের পাঁচটি শহরের আটটি স্টেডিয়ামে হবে এবারের বিশ্বকাপের খেলা।
মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম কোনো দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের আয়োজক এবার কাতার। মাঠের লড়াই হবে দেশটির ৫ শহরের ৮টি নান্দনিক স্টেডিয়ামে। তবে, আকর্ষণ পুরোটাই থাকবে ফাইনালের ভেন্যু লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামের দিকে। ৮০ হাজার ধারণক্ষমতার এই স্টেডিয়ামের প্রতিটি জায়গায় যেন লেগেছে শিল্পীর তুলির নিখুঁত ছোঁয়া।
এমনভাবে এই স্টেডিয়ামের ডিজাইন করা হয়েছে ওপর থেকে দেখলে মনে হবে ভাসমান মাঠ। মাঠে প্রবেশে দর্শকদের পার হতে হবে বিশেষ সেতু। চারপাশে থাকবে পানির ফোয়ারা। পুরো স্টেডিয়াম চালিত হবে নিজস্ব সৌরশক্তি দিয়ে।
নান্দনিকতায় লুসাইলের সঙ্গে সমানভাবে টেক্কা দিতে পারে আল বায়েত স্টেডিয়াম, যার পুরোটাই শীততাপ নিয়ন্ত্রিত। এই স্টেডিয়ামের মধ্যে রয়েছে বিলাসবহুল একাধিক হোটেল। যার ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে কফি খেতে খেতে দর্শকরা উপভোগ করতে পারবেন ২০ নভেম্বরের বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ।
দোহার রাস আবু আবোদ স্টেডিয়ামের দু’পাশেই রয়েছে কৃত্রিম লেক। যার ধারণক্ষমতা হবে ৪০ হাজার। এটি মরুর বুকে যেন এক ফুটন্ত পদ্ম।
ঠিক এমনভাবেই চোখে ধরা দেবে দোহা থেকে ১২ কিলোমিটার দূরের আল থুম্মা স্টেডিয়ামটি। এই স্টেডিয়ামের জন্য মরুভূমিতেই পুরো একটা শহর গড়ে তুলছে কাতার সরকার।
বিশ্বকাপের একমাত্র সবুজ স্টেডিয়ামের তকমা লেগেছে আল রায়ান শহরের এডুকেশন সিটি। যেখানে হবে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের সব ম্যাচ।
আহমদে বিন আলি স্টেডিয়ামও যেন একখণ্ড নীল চাঁদের ফলি। স্টেডিয়ামের ওপরের ফাঁকা স্থানটি চাইলেই ঢেকে ফেলা যাবে বিশেষ কাচে। বসার চেয়ারগুলোকে মোশন করা যাবে ইচ্ছেমতো। যার ধারণক্ষমতা প্রায় ৪৫ হাজার দর্শকের।
আল খলিফা স্টেডিয়ামটি কাতারের জাতীয় স্টেডিয়ামও। যার প্রতিষ্ঠা ১৯৭৬ সালে। তবে বিশ্বকাপ উপলক্ষে এটির আমূল পরিবর্তন আর সংস্কার করা হয়েছে।
দোহার ঐতিহ্যবাহী নৌকার আকৃতিতে বানানো ওয়াকরা স্টেডিয়ামটি বিশ্বকাপে বিশেষ আলোচনায় এসেছে তার বিশাল আয়তনের জন্য।