সেই ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে হ্যাটট্রিক করার কীর্তি গড়েছিলেন ইংল্যান্ডের জিওফ হার্স্ট। সেবার পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে ৪-২ গোলে জিতে শিরোপা জিতেছিল ইংলিশরা। তার দীর্ঘ ৫৬ বছর পর আবারও বিশ্বকাপের ফাইনালে হ্যাটট্রিক করলেন ফ্রান্সের তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। তবে দলকে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের শিরোপা জেতাতে পারলেন না পিএসজির এই তারকা।
দল যখনই পিছিয়ে পড়ছিল তখনই ত্রাতা হয়ে দেখা দিচ্ছিলেন এমবাপ্পে। আর্জেন্টিনার রক্ষণ দূর্গে একাই ভীতি ছড়িয়ে দলকে নিয়ে যান টাইব্রেকারে। তবে শেষ পর্যন্ত তার সব প্রচেষ্টা বিফলে গেছে। টাইব্রেকারে হেরে গেছে দল। তবে দল হারলেও নিজের অর্জনের ঝুলি সমৃদ্ধ করেছেন ২৪ ছুঁই ছুঁই এ তারকা। গড়েছেন একাধিক রেকর্ড।
ফাইনালে ৮০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করার পর ৯৭ সেকেন্ডের মধ্যেই দ্বিতীয় গোল করে দলতে সমতায় ফেরান এমবাপ্পে। এরপর অতিরিক্ত সময়ে গোল করে পূরণ করেন হ্যাটট্রিক। তাতেই এক বিরল রেকর্ডে ভাগ বসান ফরাসি তারকা। জিওফ হার্স্টের পর দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ ফাইনালে হ্যাটট্রিক করার গৌরব অর্জন করলেন ফরাসি সুপারস্টার।
সবচেয়ে কম বয়সি ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপে ১০ গোল করার রেকর্ড এখন এমবাপ্পের দখলে। তার আগে এই রেকর্ড ছিল জার্মানির গার্ড মুলারের দখলে। মুলার ২৪ বছর ২২৬ দিন বয়সে বিশ্বকাপে ১০ গোল করেছিলেন। এমবাপ্পে ২৩ বছর ৩৬৩ দিনে বিশ্বকাপে ১০ গোল করে সেই রেকর্ড নিজের করে নিলেন।
দুই বিশ্বকাপ মিলিয়ে এমবাপের গোলসংখ্যা এখন ১২। দ্বাদশ গোলে বিশ্বকাপে গোলসংখ্যার দিক দিয়ে এখন পেলের সমান পিএসজি ফরোয়ার্ড।