বৈরী আবহাওয়ায় উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাসমতি ছাড়া অন্য সব চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বিশ্বের শীর্ষ চাল রপ্তানিকারক দেশ ভারত। বৃহস্পতিবার দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার থেকে দেওয়া এক নোটিশে নিশ্চিত করা হয়েছে এ তথ্য।
নোটিশে বলা হয়েছে, ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে চালের সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে চাল রপ্তানিতে পরিবর্তন এনেছে সরকার। পরিবর্তিত নীতি অনুযায়ী, এখন থেকে বাসমতি চাল ব্যতীত অন্য কোনো সাদা চাল আর রপ্তানি করা যাবে না। পরবর্তী সিদ্ধান্ত আসার আগ পর্যন্তে এই আদেশ বলবৎ থাকবে।
এদিকে চাল রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ জানিয়েছে ভারতের রপ্তানিকারকদের সংস্থা রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (আরইএ)।
সংস্থাটির সভাপতি বি ভি কৃষ্ণা রাও রয়টার্সকে বলেন, রুশ বাহিনী ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর গমের আন্তর্জাতিক বাজার যেভাবে এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল, কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের কারণে চালের আন্তর্জাতিক বাজারে তার চেয়েও বড় বিপর্যয় দেখা দেবে। আকস্মিক এই নিষেধাজ্ঞার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে স্বল্পোন্নত দেশগুলো। কারণ, তারা তড়িঘড়ি করে নতুন বিক্রেতার সন্ধান পাবে না।
বিশ্বের ৩০০ কোটিরও বেশি মানুষের প্রধান খাদ্য ভাত। আর বিশ্ববাজারে প্রতিদিন যে পরিমাণ চাল কেনাবেচা হয়— তার ৪০ শতাংশই আসে ভারত থেকে।
চলতি বছরে বর্ষায় ভারতের রাজ্যগুলোতে বৃষ্টিপাতের ভারসাম্যে ব্যাপক অবনতি হয়। জুনের শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় ও কেন্দ্রীয় রাজ্যগুলোতে অতিমাত্রায় বর্ষণ হলেও পূর্ব, উত্তরপূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে বৃষ্টিপাত হয়েছে প্রয়োজনের তুলনায় বেশ কম। ফলে এবছর চাল উৎপাদন হ্রাস পাবে বলে সতর্ক করেছিল কৃষি বিজ্ঞানীরা।