বিশ্ববিদ্যালয়, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রস্তাবিত পেনশন স্কিম বাতিল ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (৩ আগস্ট) গণভবনে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
এ সংক্রান্ত একটি সার-সংক্ষেপ অনুমোদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের।
‘প্রত্যয়’। সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় সরকারের নতুন কর্মসূচি। ১ জুলাইয়ের পর থেকে যোগদান করা স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বাধ্যতামূলকভাবে এই কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তবে এই কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকেই আন্দোলনে নামেন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচিতে ক্যাম্পাসগুলো অচল হয়ে পড়ে।
গত ১৭ আগস্ট সর্বজনীন পেনশন স্কিমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিন থেকে প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা নামে চারটি স্কিম চালু হয়। পরে গত ১৩ মার্চ রাষ্ট্রায়ত্ত, স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং এদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত হয় এবং ‘প্রত্যয়’ নামে স্কিম ঘোষণা করা হয়। এই স্কিমের আওতায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীর মূল বেতনের ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৫০০০ টাকা এর মধ্যে যা কম তা কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বেতন থেকে কেটে রাখা হবে এবং সমপরিমাণ টাকা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে দেয়া হবে।
“প্রত্যয়” স্কিমে মাসিক জমার বিপরীতে কর রেয়াত পাওয়া যাবে ও মাসিক পেনশনে আয়কর দিতে হবে না।
পেনশনে থাকাকালীন ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে পেনশনার মারা গেলে তার নমিনি অবশিষ্ট সময়কালের (মূল পেনশনারের বয়স ৭৫ বছর পর্যন্ত) জন্য মাসিক পেনশন পাবেন।
উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে যারা আগে থেকেই কর্মরত আছেন এবং যাদের চাকরি ১ জুলাই ২০২৪ তারিখের পর কমপক্ষে ১০ (দশ) বছর অবশিষ্ট আছে তারা স্বেচ্ছায় “প্রত্যয়” স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
বর্তমানে ৪০৩টি স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯০টির মতো প্রতিষ্ঠানে পেনশন ব্যবস্থা চালু আছে। অবশিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ডের (সিপিএফ) আওতাধীন। সিপিএফ সুবিধার আওতাধীন প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা এককালীন আনুতোষিক পেয়ে থাকেন, তবে কোনো পেনশন পান না।