আগামী ১৫ই নভেম্বর বিশ্বে জনসংখ্যা হতে যাচ্ছে ৮০০ কোটি। পাশাপাশি ভারত সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে ২০২৩ সালে চীনকেও ছাড়িয়ে যাবে। ২০২২ সালের বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে প্রকাশিত জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, এমন এক সময় পৃথিবী ৮শ’ কোটি জনসংখ্যার মাইলফলক স্পর্শ করতে যাচ্ছে যখন বিশেষজ্ঞদের মতানুযায়ী, ধনী বাসিন্দাদের অতিমাত্রায় সম্পদ ভোগই হচ্ছে পৃথিবীতে তুলনামূলক বড় সমস্যা।

জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের প্রধান নাতালিয়া কানেম বলেন, ৮০০ কোটি মানুষ, মানবসভ্যতার জন্য একটি স্মরণীয় মুহূর্ত। তিনি প্রত্যাশিত আয়ু বৃদ্ধি এবং মা ও শিশুমৃত্যু কমে যাওয়ার প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, যদিও আমি বুঝতে পারছি স্মরণীয় এই মুহূর্তটি সবাই উদযাপন নাও করতে পারেন। পৃথিবীতে জনসংখ্যা বেশি বলে অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। আমি এখানে পরিষ্কার করে বলতে চাই, মানুষের এই সংখ্যা ভয়ের কোনো কারণ নয়।

অতিরিক্ত জনসংখ্যার ভয়ের পরিবর্তে, আমাদের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের গ্রহের সম্পদের অতিরিক্ত ব্যবহারের দিকে মনোনিবেশ করা উচিত বলেও উল্লেখ করেন কানেম।

নিউইয়র্কের রকফেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি অব পপুলেশনসের জোয়েল কোহেন বলেন, জনসংখ্যা কাদের জন্য অনেক বেশি, কিসের জন্য অনেক বেশি? যদি আপনি আমাকে প্রশ্ন করেন, আমিও কি অনেক বেশি? আমি এমন মনে করি না।

জাতিসংঘের এক পরিসংখ্যান বলছে, ২০৫০ সাল নাগাদ পৃথিবীর জনসংখ্যা হবে ৯৭০ কোটি। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালে বিশ্বে ১১ কোটি ৯৫ লাখের বেশি মানুষ জন্মগ্রহণ করেছেন।

এদিকে থিঙ্কট্যাঙ্ক গ্লোবাল ফুটপ্রিন্ট নেটওয়ার্ক ও ডব্লিউডব্লিউএফ বলছে, যদি আমরা সবাই একজন মার্কিনির মতো খাবার গ্রহণ করি তাহলে প্রতিবছর আমাদের এরকম ৫টি গ্রহের প্রয়োজন হবে।

সূত্র : দ্যা জাপান টাইমস