তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে শক্তিশালী ভূমিকম্পে অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যুর ঘটনার পরও বেশ কিছু মাঝারি ও বড় মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বিশ্বের নানা প্রান্তে। মার্কিন ভূতাত্তি¡ক জরিপ কেন্দ্র- ইউএসজিএস জানিয়েছে, চলতি মাসে গত কয়েকদিনেই বিশ্বজুড়ে ১৩টি মাঝারি ও বড় মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। এরমধ্যে পাঁচটিই ছিলো তুরস্কে। এর একটির উৎপত্তিস্থল ছিলো মিয়ানমারে, যা অনুভূত হয়েছে বাংলাদেশেও।

গত ৬ই ফেব্রুয়ারি তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তবর্তী এলাকায় শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি দেখেছে বিশ্ব। বিজ্ঞানীদের মতে প্রতিনিয়তই বিশ্বের কোন না কোন প্রান্তে ভূমিকম্প হচ্ছে। তবে নির্দিষ্ট মাত্রার ওপর নির্ভর করে এর ক্ষতি সাধনের সক্ষমতা। তুরস্কে প্রাণঘাতি ভূমিকম্পের পর গত কয়েকদিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তেমন মাঝারী ও বড় মাত্রার অন্তত ১৩টি ভূমিকম্পের তথ্য জানিয়েছে ইউএসজিএস।

সবশেষ শনিবারও অন্তত ৪টি শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বিভিন্ন দেশে। স্থানীয় সময় শনিবার জাপানের হোক্কাইডো প্রদেশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিলো ৬ দশমিক ১।দেশটির জাতীয় ভূবিজ্ঞান গবেষণা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিলো নেমুরো উপদ্বীপের ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬১ কিলোমিটার গভীরে। শুরুতে উপকূলীয় শহর কুশিরো ও নেমুরো কেঁপে উঠলেও জারি করা হয়নি কোনো সুনামির সতর্কতা। সেইসাথে জানা যায়নি কোনো ধরণের ক্ষতির খবর।

একই দিনে তুরস্কের মধ্য আনাতোলিয়া অঞ্চলের নিগদে প্রদেশে ভূমিকম্প হয়েছে। ভয়াবহ ভূমিকম্পের রেশ কাটিয়ে ওঠার আগেই ফের ৫ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দেশটি। এছাড়া ৬ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ পাপুয়া নিউগিনিতে।

এদিন বিকেলের দিকে মিয়ানমারে পূর্বাঞ্চলে জোড়া ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এর রেশ অনুভূত হয়েছে বাংলাদেশের কক্সবাজারেও।

এছাড়া, মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ কেন্দ্র ইউএসজিএস এর তথ্য মতে, চলতি মাসে গত কয়েকদিনেই তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্স, নিউজিল্যান্ড ও তাজিকিস্তানসহ কয়েকটি দেশে ১৩টি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। যারমধ্যে পাঁচটিই ছিলো তুরস্কে।