বিশ্ব পর্যটন দিবস আজ। প্রতিবছরের মতো বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে। করোনা অতিমারির কারণে গত দুই বছর পর্যটন শিল্পে ধ্বস নেমেছিলো। তবে আস্তে আস্তে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে এই খাত। পটুয়াখালীর উপকূলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা চরগুলোর মতো অবহেলিত পর্যটক কেন্দ্রগুলোকে পর্যটকদের দৃষ্টিতে আনতে পারলে এই খাতের সমৃদ্ধি বাড়বে। সেই সাথে গুরুত্ব দিতে হবে মৌলভীবাজারের মতো পরিচিত আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্রগুলোর উন্নয়নে।
১৯৮০ সাল থেকে ২৭শে সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে পর্যটন দিবস। দিবসটির প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে সারা বিশ্বের পর্যটকদের সঙ্গে পর্যটন কেন্দ্রের সেতুবন্ধন গড়ে তোলা। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচিতে পালিত হয় দিবসটি। বিপুল সম্ভাবনাময় এদেশের পর্যটন খাতকে তুলে ধরা হয় পর্যটকদের উদ্দেশে।
এমনই একটি সম্ভাবনার জায়গা পটুয়াখালীর উপকূলে বঙ্গোপসাগরে বুকে জেগে ওঠা বিচ্ছিন্ন চরগুলো। এ সব চরের চারপাশে রয়েছে বিস্তীর্ণ সমুদ্র সৈকত, রয়েছে ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট। তবে যাতায়াত, আবাসন ও খাবারের সুযোগে সুবিধা না থাকায় তা পর্যটন এলাকা হিসেবে খুব বেশি পরিচিত নয়।
তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসফাকুর রহমান জানালেন, চরে থাকার সুযোগ না থাকলেও উপজেলা সদরে জেলা পরিষদের বাংলোতে পর্যটকদের থাকার সুযোগ রয়েছে।
এদিকে, মৌলভীবাজারে রয়েছে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত, হাইল হাওর, বাইক্কা বিল, হাকালুকি হাওর, মাধবপুর লেইক, হামহাম জলপ্রপাত, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ও বিস্তীর্ণ চা বাগান। যা পর্যটকদের আকর্ষণ করে। কিন্তু দর্শনীয় এসব স্থানে বছরের পর বছর উন্নয়নের ছোঁয়া না লাগায় কমছে পর্যটক।
জেলার পর্যটন সম্ভাবনাকে কাজে লাগালে স্থানীয় অর্থনীতিকে আরও এগিয়ে নেয়া সম্ভব বলে মনে করেন পর্যটন সেবা সংস্থার সভাপতি সেলিম আহমদ।
জেলা প্রশাসক বেলায়েত হোসেন আশ্বাস দিলেন, সঠিক কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ি পর্যটন শিল্পের বিকাশে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হবে। করোনা অতিমারির কারণে দেশের পর্যটন শিল্প বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে সংক্রমণ কমে আসায় পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভীড় বাড়ছে। গতি ফিরছে পর্যটন শিল্পে।