আজ ২২শে মার্চ বিশ্ব পানি দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ ‘বিশ্ব পানি দিবস পালনে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘পানি ও স্যানিটেশন সংকট সমাধানে পরিবর্তন ত্বরান্বিত করা’।
দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। এছাড়াও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এমপিপৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, ‘নিরাপদ পানি বিশ্বের সব প্রাণিকুলের জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য। তিনি বলেন, উৎস থেকে সমুদ্র অবধি পানির অবারিত প্রবাহ ও ন্যায়সঙ্গত ব্যবহার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমেই পানির সুষম প্রাপ্যতা ও ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন সম্ভব। নদীমাতৃক বাংলাদেশে মনুষ্যসৃষ্ট ও প্রাকৃতিক নানাবিধ কারণে পানীয়জল ও স্যানিটেশনের সংকট বিদ্যমান। ’
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন,‘ এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার নদী ও খাল পুনঃখনন, প্রাকৃতিক জলাধার রক্ষণাবেক্ষণ এবং নতুন জলাধার ও ব্যারেজ নির্মাণের কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এছাড়া নদীর তীর সংরক্ষণ, পানি অবকাঠামো সংস্কার করে জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, ভূমি পুনরুদ্ধার, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও অংশগ্রহণমূলক পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মানুষের জীবনমান উন্নয়ন এবং পরিবেশ ও প্রতিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার প্রচেষ্টা চলমান।
তিনি বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে উদ্ভাবনী উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের জলাধারসমূহে বছরজুড়ে পানি সংরক্ষণ পরিকল্পনা এ ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। রাষ্ট্রপতি প্রাকৃতিক সম্পদ পানির পরিকল্পিত ব্যবহার নিশ্চিতকরণে সরকারি-বেসরকারি সব সংস্থাকে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান। তিনি ‘বিশ্ব পানি দিবস ২০২৩’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সব কার্যক্রমের সাফল্য কামনা করেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার পানির চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছে দেশ। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-২০৩০ অর্জনের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ পানি ব্যবস্থাপনা, স্যানিটেশন, কৃষিকাজ, শিল্প খাত বিবেচনায় রেখে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার পানি চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছে। ’
তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবিলায় আমাদের সরকার পানি অবকাঠামো সংস্কার, নদীর তীর সংরক্ষণ, নদীর নাব্যতা রক্ষার্থে ড্রেজিং, খাল পুনঃখনন, প্রাকৃতিক জলাধার রক্ষণাবেক্ষণ এবং নতুন জলাধার ও ব্যারেজ নির্মাণের কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। একই সঙ্গে নদীর তীরবর্তী ভূমি পুনরুদ্ধার করে বনায়ন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং জলাবদ্ধতা দূরীকরণে জনসচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম অব্যাহত আছে।’