আজ শনিবার (১৯শে নভেম্বর) বিশ্ব পুরুষ দিবস। সমাজের প্রতি পুরুষদের দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দিতে বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে দিবসটি। পুরুষ দিবস পালনের প্রস্তাব প্রথম করা হয় ১৯৯৪ সালে। তবে ইতিহাস বেশ পুরনো।

১৯২২ সাল থেকে সোভিয়েত ইউনিয়নে পালন করা হতো রেড আর্মি অ্যান্ড নেভি ডে। এই দিনটি পালন করা হতো মূলত পুরুষদের বীরত্ব আর ত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়ে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৯ সাল থেকে ১৯শে নভেম্বর পালিত হয়ে আসছে বিশ্ব পুরুষ দিবস।

পুরুষ ও বালকদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি, নারী-পুরুষের লৈঙ্গিক সম্পর্ক উন্নয়ন বিষয়ক প্রচারণা, নারী-পুরুষের লৈঙ্গিক সাম্যতার প্রচার, পুরুষদের মধ্যে ইতিবাচক আদর্শ চরিত্রের গুরুত্ব তুলে ধরা, বিভিন্ন সংস্কার ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরী, সমাজ, পরিবার, বিবাহ ও শিশু যত্নের ক্ষেত্রে পুরুষ ও বালকদের অবদানকে তুলে ধরাই এই দিবস পালনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

বর্তমানে বিশ্বজুড়ে নানাভাবে পুরুষ দিবস পালনের রেওয়াজ রয়েছে। প্রতিবছর ১৯ নভেম্বর বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশে দিবসটি পালন করা হয়। এই দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে: যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, কানাডা, ভারত, পাকিস্তান, ক্রোয়েশিয়া, জ্যামাইকা, কিউবা, স্কটল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মাল্টা, কানাডা, ডেনমার্ক, নরওয়ে, অস্ট্রিয়া, ইউক্রেন ইত্যাদি।