বাবা মানে নির্ভরতা। বাবা মানে বটবৃক্ষের ছায়া। সন্তানের প্রতি বাবার ভালোবাসা চিরকালের। জীবনে যতই বাধা-বিপত্তি আসুক, সব পরিস্থিতিতেই পরম মমতায় সন্তানকে আগলে রাখেন বাবা।
ভাষাভেদে শব্দ আর স্থানভেদে বদলায় উচ্চারণ। তবে বদলায় না রক্তের টান। মানুষের ক্ষেত্রে বাবা ও সন্তানের মাঝে গভীর ভালোবাসা যেমন আছে, তেমনি ভালোবাসা দেখা যায় বন্যপ্রাণীদের ক্ষেত্রেও। বাবার তুলনা বাবা নিজেই।
পৃথিবীর সব বাবাদের প্রতি ভালবাসা, সমর্থন, সম্মান এবং প্রশংসার জন্য বাবা দিবস পালনের প্রথম উদ্যোগ নেয়া হয় ১৯০৮ সালে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার ফেয়ারমন্টে প্রথম ৫ জুলাই দিবসটি পালন করা হয়। এরপর ১৯৬৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসন জুনের তৃতীয় রবিবারকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাবা দিবস হিসেবে নির্ধারণ করেন।
১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন প্রতিবছর জাতীয়ভাবে বাবা দিবস পালনের রীতি চালু করেন। পৃথিবীতে একমাত্র মা-বাবাই সন্তানকে স্বার্থহীনভাবে ভালোবাসে। মানুষের মতো বন্যপ্রাণীদের মাঝেও সন্তানের জন্ম থেকে শুরু করে তাদের লালন-পালনে বাবার অনেক অবদান আছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ দিবসটি ভিন্ন ভিন্ন দিনে পালন করা হয়। বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাবা দিবস পালন করা হয় জুন মাসের তৃতীয় রবিবার। দক্ষিণ আমেরিকায় দিবসটি পালিত হয় ১৯ মার্চ। আর অস্ট্রেলিয়া ও ফিজিতে পালন করা হয় সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম রবিবার।
বাবার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের এই বিশেষ দিবসে সন্তানরা বাবাদের কোনও না কোনও উপহার দিতে পছন্দ করে। বিশ্বের অনেক দেশে ঘটা করে বাবা দিবস উদযাপন করা হয়। সমাজ, সংস্কৃতি, দেশভেদে উদযাপনে কিছুটা বৈচিত্র্য দেখা যায়। কোনও দেশে হয়তো সন্তান বাবাকে ফুলের তোড়া ও কার্ড উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়, আবার কোনও দেশে নেকটাই, টুপি, মোজা ও বিভিন্ন স্পোর্টস সামগ্রী উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়। তবে দেশ, সমাজ, সংস্কৃতি কিংবা উপহার ভিন্ন হলেও বাবার প্রতি সন্তানদের ভালোবাসায় নেই কোনও ভিন্নতা। যেখানে প্রকাশভঙ্গি নয়, ভালোবাসা প্রকাশই মুখ্য।