আজ ২০ জুন, বিশ্ব শরণার্থী দিবস। ২০০১ সাল থেকে বিশ্বজুড়ে পালিত হয়ে আসছে দিবসটি। নানা আয়োজনে বাংলাদেশেও দিবসটি পালন হচ্ছে। শরণার্থীদের অধিকার ও পরিস্থিতি বিশ্বব্যাপী তুলে ধরে সচেতনতা তৈরিই দিবসটির প্রধান উদ্দেশ্য।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের (ইউএনএইচসিআর) তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে প্রতি ৭৭ জনের একজন শরণার্থী। প্রতি বছর শরণার্থীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। ২০২২ সাল পর্যন্ত বিশ্বে শরণার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০ কোটি।
বিশ্বব্যাপী দিন দিন শরণার্থীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। এর প্রধান কারণ হিসেবে সংস্থাটি যুদ্ধ, সহিংসতা, মানবাধিকার লঙ্ঘন, চরমপন্থা, দারিদ্র্য, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, খাদ্য সংকটসহ বিভিন্নি ইস্যুকে চিহ্নিত করেছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা ইস্যুতে বিশ্বজুড়ে অস্থিরতা বাড়ছে, যার প্রভাবে বাড়ছে শরণার্থী কিংবা বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যাও। ইউএনএইচসিআর বলছে, উদ্বাস্তু বা শরণার্থীর সংখ্যা ভবিষ্যতে আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা। শরণার্থীদের মধ্যে সিরিয়া থেকে ২৭ শতাংশ, ভেনিজুয়েলা ১৮ শতাংশ, আফগানিস্তান ১১ শতাংশ, দক্ষিণ সুদান ৯ শতাংশ এবং মিয়ানমার থেকে ৫ শতাংশ আগত। এছাড়া ৩০ শতাংশ বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে আগত শরণার্থী।
শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়া দেশগুলোর মধ্যে উচ্চআয়ের দেশ মাত্র ১৭ শতাংশ। এছাড়া মধ্যম আয়ের ৪০ শতাংশ, নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ ২১ শতাংশ এবং নিম্নআয়ের দেশ ২২ শতাংশ।
উল্লেখ্য ২০১৭ সাল থেকে শরণার্থী হিসেবে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা। দেশটিতে সেনাবাহিনীর নির্যাতন ও গণহত্যা থেকে বাঁচতে রোহিঙ্গারা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এর আগে আরও প্রায় ৪ লাখ রোহিঙ্গা এসেছে। সরকারি হিসেবে বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা ১১ লাখ।