প্রথম পর্বে ৫ হাজার বাসগৃহ ‘বীর নিবাস’ পেয়েছেন ৫ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা। আজ (বুধবার) দুপুর ১২টার পর ‘বীর নিবাসের’চাবি হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে অংশ নিয়ে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধক্রমে তার পক্ষে প্রথমে নড়াইলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবদুস সবুরের হাতে বীর নিবাসের চাবি হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান। এরপর মাদারীপুর, গাজীপুর, গোপালগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে বীর নিবাসের চাবি তুলে দেন। এ পাঁচ জেলা অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিল।
সরকারপ্রধানের পক্ষে মাদারীপুর জেলায় অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মজিদ হাওলাদারের হাতে চাবি তুলে দেন জেলা প্রশাসক রহিমা খাতুন।
গাজীপুরে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর মজিদ সরকারের কাছে চাবি হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান। গোপালগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন শিকদারের হাতে চাবি হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম। কিশোরগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সোহরাব উদ্দিনের হাতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বীর নিবাসের চাবি তুলে দেন জেলা প্রশাসক মো. আবুল কলাম আজাদ।
মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুর্বণজয়ন্তী উপলক্ষে ২০২১ সালে সারাদেশে ৩০ হাজার বীর নিবাস নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করে সরকার। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয় ২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। এ পর্যায়ে পাঁচ হাজার বাড়ি নির্মাণ শেষে হস্তান্তর করা হচ্ছে। বাড়িতে দুই বেডরুম, একটি ড্রইং ও একটি ডাইনিং, দুটি বাথরুম এবং একটি বারান্দা রয়েছে। চার শতাংশ জমিতে ৭৩২ বর্গফুট আয়তনের এক-একটি বাড়ির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ লাখ ১০ হাজার ৩৮২টাকা।