বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় – বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে ওই সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সাথে বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করে দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতাও স্থগিত করেছে আদালত। ফলে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চলতে এখন আর কোন বাধা নাই।
ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ রাব্বির করা এক রিটের শুনানি শেষে সোমবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয় গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন। রিটের বিবাদী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, বুয়েটের ভিসি ও রেজিস্ট্রারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ২০১৯ সালে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার পর আন্দোলনের মুখে ওই ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়।
সবশেষ গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি, দপ্তর সম্পাদকসহ অনেকে বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে প্রতিবাদে শুক্রবার থেকে ফের আন্দোলন শুরু হয়। অনেক শিক্ষার্থীর অভিযোগ করে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের ২১তম ব্যাচের ছাত্র ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম এ জন্য দায়ী।
পরের দিন শুক্রবার বিকালে বুয়েটের শহীদ মিনারের সামনে শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদে একটি সংবাদ সম্মেলন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালকের (ডিএসডব্লিউ) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখান।
এরপর রাতে বুয়েটের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ফোরকান উদ্দিনের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ইমতিয়াজ হোসেন রাহিমের হলের সিট বাতিল করা হয়। পাশাপাশি বিষয়টি তদন্তে কমিটি গঠন করে ৮ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
অন্যদিকে ইমতিয়াজকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করাসহ ছয় দফা দাবিতে রোববার সকাল থেকে ফের বিক্ষোভের ঘোষণা দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তবে রোববার সকাল থেকে ক্যাম্পাসে তাদের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। অন্যদিকে বুয়েট ছাত্র রাজনীতি ফেরানোর দাবিতে রোববার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করার পর নেতাকর্মীদের নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান।