আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোয় সন্ত্রাসীদের হামলায় অন্তত ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (৯ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গত ৬ এপ্রিল দেশটির নাইজার সীমান্তের কাছে সাহেল অঞ্চলের কৌরাকাউ এবং টন্ডোবি গ্রামে সন্ত্রাসীরা এলোপাথারি গুলি চালালে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতের মধ্যে কৌরাকাউতে ৩১ জন এবং টন্ডোবি গ্রামের ১৩ জন হয়েছেন।

সম্প্রতি গবাদি পশু চুরির চেষ্টাকারী দুই সন্ত্রাসীকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে হামলার দায় এখনও কোনো গোষ্ঠী স্বীকার না করলেও কর্মকর্তারা হামলার জন্য ‘সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’কে দায়ী করেছেন। সন্ত্রাসী এই গোষ্ঠীর সঙ্গে আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের (আইএস) যোগাযোগ রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

দ্য গার্ডিয়ান জানায়, দরিদ্র সাহেল অঞ্চলটি আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের জিহাদিদের সঙ্গে সাত বছর ধরে লড়াই করছে। সংকটের সময় হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন এবং ২০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে দেশটির উত্তরে ডিউত অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের হামলায় ৫১ সৈন্য নিহত হয়।

একপর্যায়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পল-হেনরি দামিবার নেতৃত্বে বুরকিনা ফাসোর সামরিক বাহিনী সহিংসতা বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত বছরের জানুয়ারিতে দেশটির ক্ষমতা দখল করে। কিন্তু তিনি এসব আক্রমণ ও সহিংসতা বন্ধ করতে ব্যর্থ হন এবং সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয় আরেকটি অভ্যুত্থানে তাকে অপসারণ করেন ক্যাপ্টেন ইব্রাহিম ট্রাওরে।

বুরকিনা ফাসোর নতুন সামরিক প্রধান এই সপ্তাহে জিহাদিদের বিরুদ্ধে একটি গতিশীল আক্রমণ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।