নিউজিল্যান্ডের ছুড়ে দেওয়া ৪০২ রানের বিশাল লক্ষ্য। তবে হাল ছাড়েনি পাকিস্তান। কিউই বোলারদের পিটিয়ে সেই লক্ষ্যের দিকে ভালোভাবেই ছুটছিল বাবর আজমের দল। পরে বৃষ্টির কারণে লক্ষ্য কমে দাঁড়ায়। তাতেও ভালোই ব্যাট চালিয়ে যায় বাবর আজমরা।

দ্বিতীয়বার বৃষ্টিতে যখন খেলা বন্ধ হয়েছে। পাকিস্তান স্কোরে ২১ রানে এগিয়ে ছিলো। এরপর আর বল মাঠে গড়ায়নি। ফলে বৃষ্টি আইনে নিউজিল্যান্ডকে ২১ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে তারা। এখন ৪ জয়ে পাকিস্তানের পয়েন্ট ৮। তারা এখন আছে পাঁচ নম্বরে। একইসঙ্গে দুশ্চিন্তা বাড়ল নিউজিল্যান্ডের কপালে। যদিও পয়েন্ট টেবিলে রান রেটে এগিয়ে কিউইরাই। তারা আছে চতুর্থ স্থানে।

বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ৩৫তম ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ড সংগ্রহ করে ৪০১ রান। বিশাল এই লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাট করতে ২১.৩ ওভার শেষে হানা দেয় বৃষ্টি। পাকিস্তানের স্কোরবোর্ডে তখন ১ উইকেট হারিয়ে রান ১৬০। বৃষ্টি থামলে আবার নেমে ঝড়ো ব্যাট চালাতে থাকে তারা। ডিএলএস মেথডে তখন ৪১ ওভারে লক্ষ্য ধরা হয় ৩৪২। ২৫.৩ ওভার শেষে আবারও হানা দেয় বৃষ্টি। পরবর্তীতে ডিএলএস মেথডে জয়ী ঘোষণা করা হয় বাবর আজমদের।

আগে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৬ রান তুলে দুই ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্র। ১১তম ওভারে কনওয়েকে ফিরিয়ে হাসান আলী পাকিস্তান শিবিরে স্বস্তি এনে দেন। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলের রানের চাকা সচল রাখেন কেন উইলিয়ামসন ও রাচিন।

দুই টপ অর্ডার মিলে পাকিস্তানি বোলারদের উপর চড়াও হন। তাদের দুজনের বিধ্বংসী ব্যাটিং বড় সংগ্রহের ভীত গড়ে দেয়। ১৮০ রানের বিশাল জুটি ভাঙেন স্পিনার ইফতিখার আহমেদ। ৫ রানের আক্ষেপ নিয়ে ৯৫ রান করে শতক বঞ্চিত হন কেন উইলিয়ামসন। কিউই অধিনায়ক শতকের দেখা না পেলেও ওপেনার রবীন্দ্র ঠিকই তুলে নিয়েছেন এবারের বিশ্বকাপে নিজের তৃতীয় শতক। ৯৪ বলে ১০৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে মোহাম্মদ ওয়াসিমের শিকার হন এই বাঁহাতি ব্যাটার।