অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশে বোরকা বা হিজাব পরা নারীর সাংবিধানিক অধিকার বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে দেশের ১৫টি জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রীরা বোরকা পরায় হেনস্তার যে ঘটনা ঘটেছে, সেসব ঘটনা তদন্ত করতেও নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।

এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার (দোসরা জুন)  বিচারপতি মুজিবর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেয়। আদেশে শিক্ষাসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, ধর্মসচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে এই প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ইলিয়াছ আলী মণ্ডল, আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের হিজাব পরতে বাধা দেয়ার ঘটনা ঘটে, যা ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। এমন ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে সম্পূরক আবেদন করেন আইনজীবী ইলিয়াছ আলী মণ্ডল। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এ আদেশ দেয়।

বোরকা ও হিজাব পরায় দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুসলিম শিক্ষার্থীদের হয়রানি করাকে কেন বেআইনি ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে এর আগে ২০১৯ সালের পহেলা জুলাই রুল জারি করেছিল হাইকোর্টের আলাদা একটি বেঞ্চ। একই সঙ্গে এ ঘটনায় জড়িত স্কুল বা কলেজ কর্তৃপক্ষ/প্রধান শিক্ষক বা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কেন প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছিল।