বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযানে কেএনএফ-এর তিন সদস্যসহ চার জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এক জন ব্যাংক ডাকাতির সাথে সরাসরি জড়িত ছিলো। এসময় ব্যাংক ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি গাড়িও জব্দ করা হয়। আটক করা হয় গাড়িটির ড্রাইভারকে।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন জানান, গতকাল রবিবার গভীর রাতে রুমা ও থানচিতে যৌথবাহিনী অভিযানে তাদেরকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়ার কুকি-চিনের সদস্যরা হলেন—ভানুনুন নুয়াম বম, জেমিনিউ বম ও আমে লনচেও বম।
পুলিশ সুপার আরো জানান, বান্দরবানের অশান্ত উপজেলাগুলোর সহিংস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এরই মধ্যে চারটি সাঁজোয়া যান (আর্মার্ড পার্সোনাল কেরিয়ার – এপিসি) এসেছে বান্দরবানে। এই সাঁজোয়া যানগুলো বান্দরবানের রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যবহার করা হবে।
এ বিষয়ে সোমবার দুপুরে বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন বলেন, ‘গত রোববার রাতে থানচি ও বান্দরবান সদরের সুয়ালক চেকপোস্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ব্যাংক ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত গাড়ির চালকসহ মোট ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে, তাদের নামে মামলা রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘উপজেলাগুলোতে অভিযানের অংশ হিসেবে রুমা ও থানচি উপজেলার জন্য ৪টি সাঁজোয়া যান (এপিসি) আনা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে এপিসি আরও বাড়ানো হবে।’
গতকাল থেকে রুমা ও থানচিতে অভ্যন্তরীণ যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এরই মধ্যে যৌথবাহিনীর কম্বিং অপারেশনের প্রতিবাদে সোমবার বিকেল ৫টা থেকে বান্দরবানের রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি এলাকা সমূহের সকল ধরনের যান চলাচলে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেএনএফ।
এ বিষয়ে রুমা বাস মালিক সমিতির লাইনম্যান জাকির হোসেন জানান, সকাল থেকে রুমায় গণপরিবহনসহ অভ্যন্তরীণ যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে স্থানীয়রা কেউ বের হচ্ছে না।