ইমার্জিং এশিয়া কাপে ভারতকে ২১১ রানে আটকে রেখেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১৬০ রানে অলআউট হয়েছেন নাঈম-সৌম্যরা। ৫১ রানে জিতে ফাইনালে উঠে গেছে ভারত। ২৩শে সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে তারা।

শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে তারা লড়বে পাকিস্তানের বিপক্ষে। প্রথম সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের বিপক্ষে পাকিস্তান ‘এ’ দল জয় পেয়েছে ৬০ রানে। সেই সুবাদে আরও একটি মহারণের দেখার সুযোগ মিলছে ক্রিকেটপ্রেমীদের।

ভারতের করা ২১১ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করে টিম টাইগার্স। পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে ৬০ রান তোলার পাশাপাশি উদ্বোধনী জুটিতে মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও তানজিদ হাসান তামিম মিলে তোলেন ৭০ রান।

ইনিংসের ১৩ তম ওভারে নাঈম ৩৮ রানে বিদায় নিলেও ব্যক্তিগত অর্ধশতক ঠিকই তুলে নেন তানজিদ হাসান। ৫১ রানে তানজিদের বিদায়ের পর অল্পতেই বিদায় নেন জাকির হাসানও। এরপর সাইফ হাসান ও জয় দুজনে মিলে শুরু করেন ইনিংস মেরামতের কাজ। তাদের জুটিতে ভর করেই জইয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে বাংলাদেশ। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে পিছু নিয়েছে বাংলাদেশের সেটি কেই বা জানতো? ২২ রান করে সাইফের বিদায়ের পর এক প্রকারে ধস নামে টাইগার শিবিরে।

উইকেটের একপ্রান্ত জয় আগলে ধরে লড়াই চালিয়ে গেলেও অপরপ্রান্ত থেকে মেলেনি সাপোর্ট। সৌম্য সরকার ও আকবর আলি এক অঙ্কের ঘরে আটকে থেকে মাঠ ছাড়লেও মাহেদী হাসানের ১২ রান কাজে দেয়নি খুব একটা। শেষ পর্যন্ত জয়ও হাল ছাড়েন ২০ রান করে। শেষ পর্যন্ত ১৬০ রান তুলে থামে বাংলাদেশের ইনিংসের চাকা।

এরআগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২৯ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় ভারত। অষ্টম ওভারে এসে বাংলাদেশকে প্রথম উইকেট এনে দেন তানজিম হাসান সাকিব। তার বলে ২৪ বলে ২১ রান করা সাই সুদর্শন উইকেটরক্ষক আকবর আলীর হাতে ক্যাচ দেন।

এরপর ৩৬ রানের জুটি গড়েন অভিষেক শর্মা ও নিকিন জোস। এই জুটির ভেতর বেশ কয়েকটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত দেন আম্পায়াররা। রাকিবুলের বলে নিকিন জোসকে স্টাম্পিং দেননি তৃতীয় আম্পায়ার ফয়সাল আফ্রিদি। টিভি রিপ্লে দেখে অবশ্য মনে হয়েছে, আউট ছিলেন জোস। এরপর সাইফ হাসানের বলে একটি এলবিডব্লিউ থেকেও বেঁচে যান ভারতীয় ব্যাটার।

দলকে উইকেটও শেষ অবধি এনে দেন সাইফই। তার বলে মিড উইকেটে দাঁড়ানো জাকির হাসানের হাতে ক্যাচ দেন জোসে। এরপর ভেঙে পড়ে ভারতের ব্যাটিংয়ে। স্কোরকার্ডে একশ রান হওয়ার আগেই হারায় আরও দুই উইকেট।

৬৩ বল খেলে ৩৪ রান করে রাকিবুল হাসানের বলে ক্যাচ দেন অভিষেক শর্মা। এরপর ১৬ বলে ৫ রান করা নিষাদ সিন্ধুকেও ফেরান তিনি। ২৪ বলে ১২ রান করা রিয়ান পারাগকে বোল্ড করে উল্লাসে মাতেন তানজিম হাসান সাকিব।

এরপর দুই উইকেট নিয়ে ভারতের রান লম্বা না হওয়ার কাজটি সারেন শেখ মাহেদী হাসান। ৩ বলে ১ রান করা ধ্রুব জুরেলকে এলবিডব্লিউ ও ১৪ বলে ৯ রান করা হারশিত রানাকে ক্যাচ আউট করেন মাহেদী।

এরপর ভারতকে অনেকটা একাই টেনে নেন অধিনায়ক ইয়াশ দুল। রিপন মণ্ডলের করা শেষ ওভারে শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৮৫ বলে ৬৬ রান করেন তিনি। শেষদিকে ২৪ বলে ২১ রান করে মানব সুতার ও ১২ বলে ১৫ রান করেন রাজবর্ধন হাঙ্গার্গেকার। বাংলাদেশের পক্ষে দুই উইকেট করে নেন মাহেদী, তানজিম সাকিব ও রাকিবুল হাসান।