ব্রাজিলের পারনাম্বুকো প্রদেশের রেসিফ এবং ওলিন্ডার শহরে প্রবল বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৯ জনে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে অন্তত ৫৬ জন। শত শত মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। জীবিতদের সন্ধানে উদ্ধার কাজ অব্যাহত রয়েছে। রোববার বেসামরিক কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। ভূমিধস ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সড়ক ও যোগাযোগ ব্যবস্থা। ধ্বংস হয়েছে অনেক বাড়িঘর। সোমবার সেখানে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলে সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ।

ব্রাজিলের সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ টুইট বার্তায় জানায়, পার্নাম্বুকো রাজ্যের ৭৬০ জন মানুষকে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।

রাজ্য সিভিল ডিফেন্সের নির্বাহী সচিব লেফটেন্যান্ট কর্নেল লিওনার্দো রদ্রিগেস ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা এক ভিডিওতে জানান, রাজ্যে প্রায় ৩২ হাজার পরিবার ভূমিধস বা বন্যার ঝুঁকিপ্রবণ এলাকায় বসবাস করছে।

রেসিফ শহরের স্কুলগুলো বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষের আশ্রয়ের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। ওই অঞ্চলের আরেক রাজ্য আলাগোয়াসে শুক্রবার নদীর পানি উপচে সৃষ্ট বন্যায় ভেসে গিয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টির প্রভাবের কারণে আলাগোয়াসে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ৩৩টি পৌর এলাকায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।

বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়- বন্যায় বহু ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও স্থাপনা পানিতে ডুবে গেছে। ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। ঘটেছে ভূমিধসের ঘটনাও।

পার্নাম্বুকো ওয়াটার অ্যান্ড ক্লাইমেট এজেন্সি জানিয়েছে, রাজ্যে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

এ নিয়ে গত পাঁচ মাসে দেশটিতে চার বার বড় ধরনের বন্যা দেখা দিয়েছে। ঘন ঘন বন্যার কারণে ব্রাজিলের নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য স্থাপিত শহরগুলোর পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গেল ডিসেম্বরের শেষ এবং জানুয়ারির শুরুর দিকে ব্রাজিলের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাহিয়া রাজ্যে বৃষ্টিপাতের কারণে কয়েক ডজন মানুষের মৃত্যু হয়। বাস্তুচ্যুত হয় ১০ হাজার মানুষ।

এদিকে, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো এক টুইট বার্তায় সোমবার সকালে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পারনামবুকোর রাজধানী রেসিফে পৌঁছানোর কথা জানিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করতে তাদের সরকার সশস্ত্র বাহিনীসহ সব উপায় ব্যবহার করছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।