রাজকীয় আয়োজন ও সামরিক কুচকাওয়াজের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চালর্সের জন্মদিন। প্রথা অনুযায়ী জন্মদিনে ঘোড়ার পিঠে চড়ে কুচকাওয়াজে অংশ নেন রাজা। পরে রাজকীয় অভিবাদন গ্রহণ করেন তিনি। এসময় রাজার সাথে উপস্থিত ছিলেন রাজপরিবারের অন্য সদস্যরাও। এক হাজার সেনাসদ্যসের অংশগ্রহণে আয়োজিত এ কুচকাওয়াজ দেখতে বাকিংহাম প্যালেসের সামনে ভিড় করে হাজারও জনতা।
১৬’শ শতক থেকেই রাজকীয়ভাবে উদযাপন করা হয় ব্রিটেনের রাজা বা রানীর জন্মদিন। এ উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হওয়া কুচকাওয়াজকে বলা হয় ‘ট্রপিং দ্য কালার’। ১৪ই নভেম্বর রাজা তৃতীয় চার্লসের জন্মদিন হলেও গ্রীষ্মের কোনো এক দিন পালন করা হয় এ আনুষ্ঠানিকতা। রাজার অভিষেকের পর ব্রিটেনে দ্বিতীয়বারের মতো ট্রপিং দ্য কালার অনুষ্ঠিত হয়েছে শনিবার। রাজকীয় এই আয়োজনে অংশ নেয় ১ হাজার সেনা, দুইশ’ ঘোড়া এবং আড়াইশ’ সংগীতজ্ঞ। অনুষ্ঠানে চার্লসকে রাজকীয় অভিবাদন জানিয়েছে সেনারা।
রীতি অনুযায়ী জন্মদিনের অনুষ্ঠানে অশ্বারোহণ করেন রাজা চার্লস। এসময় রাজা তৃতীয় চার্লস ও কুইন ক্যামিলিয়ার সাথে ছিলেন প্রিন্স উইলিয়াম, প্রিন্সেস অ্যান, প্রিন্স এডওয়ার্ড, প্রিন্সেস কেট মিডলটন ও তার সন্তানরা। এই আয়োজনকে ঘিরে ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে আসেন কেট। তবে রাজপরিবারের সাথে দূরত্ব বেড়ে যাওয়ায় বাবার জন্মদিনের আয়োজনে দাওয়াত পাননি প্রিন্স হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী মেগান।
রাজকীয় এ কুচকাওয়াজ দেখতে বাকিংহাম প্যালেসে ভীড় করে হাজারও মানুষ। প্যারেড স্কয়ারের চারপাশে কয়েক হাজার অতিথির জন্য আসন বরাদ্দ করা হয়। নিমন্ত্রিত অতিথিদের সাথে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিরা।
কুচকাওয়াজ শেষে রাজা তৃতীয় চার্লস পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাকিংহাম প্যালেসের বারান্দায় দাঁড়িয়ে বিমানবাহিনীর মনোজ্ঞ ফ্লাইপাস্ট উপভোগ করেন। এর মাধ্যমেই শেষ হয় ট্রপিং দ্য কালার এর আনুষ্ঠানিকতা।