অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বাকপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারতকে গুড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে টিকিট পেল ইংল্যান্ড। ভারতের দেয়া ১৬৩ রানের জবাবে কোনো উইকেট না হারিয়ে ২৪ বল হাতে রেখেই ফাইনাল নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড।

ভারতের ১৬৮ রানের ইনিংসকে আমলেই নিচ্ছে না ইংল্যান্ড। শুরু থেকে উইকেটের জন্য হন্যে হয়ে থাকলেও কোনো চান্সই দেওয়া হয় নি সামি-অশ্বিনদের। সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই তাণ্ডব চালিয়ি যান ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার ও অ্যালেক্স হেলস। এই দুই ওপেনার ৯৬ বলে ১৭০ রানের অবিচ্ছিন জুটিতে ২৪ বল আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করল ইংল্যান্ড। হেলস ৪৭ বলে ৮৬ রান এবং বাটলার ৪৯ বলে ৮০ রান সংগ্রহ করে।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে এসে প্রথম উইকেট হারায় ভারত। ৫ বলে ৫ রান করে ক্রিস উকসের বলে উইকেটের পেছনে জশ বাটলারের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরত যান উদ্বোধনী ব্যাটার লোকেশ রাহুল।

এরপর রোহিতের সঙ্গে ৪৭ রানের জুটি গড়েন কোহলি। ক্রিস জর্ডানের বলে ডিপ মিডউইকেটে দারুণ ক্যাচ ধরেন শ্যাম কারান। ২৮ বলে ২৭ রান করে ফিরতে হয় রোহিত শর্মাকে। এই টুর্নামেন্টে ভারতের বড় আশার নাম সূর্য কুমার যাদব। তিনিও নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি।

১০ বলে ১৪ রান করে ফিল সল্টের হাতে ক্যাচ দিয়ে সূর্য ফেরেন আদিল রশিদের বলে। এরপর হার্দিকের সঙ্গে ৬১ রানের জুটি গড়েন কোহলি। তিনি পেয়ে যান চলতি টুর্নামেন্টে নিজের চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরির দেখাও।

৪০ বলে ৫০ রান করে ক্রিস জর্ডানের বলে আদিল রশিদের দুর্দান্ত ক্যাচ হয়ে ফিরতে হয় কোহলিকে। তবে অন্য প্রান্তে বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলায় মাতেন পাান্ডিয়া। একটা সময় দলের রান দেড়শ হবে কি না তা নিয়েও সংশয় ছিল।

কিন্তু দলকে দারুণভাবে এগিয়ে নেন হার্দিক। ইনিংসের শেষ বলে হিট উইকেট হওয়ার আগে ৪ চার ও ৫ ছক্কায় ৩৩ বলে ৬৩ রান করেন হার্দিক। ইংলিশদের পক্ষে ৪ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন জর্ডান।