ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানির অনুমতির প্রথম দিন গতকাল সোমবার দেশের তিনটি স্থলবন্দর দিয়ে ১ হাজার ৪০৭ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। দুই দিনে প্রায় ১৩শ’ থেকে ১৪শ’ টন পেঁয়াজ ঢুকেছে বাংলাদেশে। দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর ও সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে এসব পেঁয়াজ এসেছে। আমদানির এলসি, শুল্ককর, ট্রাকভাড়া, আনুষঙ্গিক খরচ, পচা পেঁয়াজ বাদ দিয়ে দেশে পৌঁছানো পর্যন্ত প্রতিকেজিতে আমদানিকারকের খরচ পড়ছে প্রায় ৩০ টাকা।
ই তিনটি বন্দর হলো দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর ও সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর। তিন স্থলবন্দরের কাস্টমস স্টেশনের তথ্যে দেখা যায়, প্রতি চালানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ১৩ থেকে ১৬ সেন্টে। ডলারের বিনিময়মূল্য ১০৮ টাকা ১৭ পয়সা ধরে মানভেদে আমদানিমূল্য দাঁড়ায় ১৪ থেকে ১৭ টাকা ৩০ পয়সা।
প্রতি কেজিতে শুল্ককর প্রায় সাড়ে ৩ টাকা। এর সঙ্গে ট্রাকভাড়া, কুলির মজুরি, স্টোর রেন্ট, ২৫ শতাংশ নষ্ট পেঁয়াজ বাদ দিয়ে আমদানিকারকের কেজিপ্রতি খরচ প্রায় ৩০ টাকা।
জানতে চাইলে হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি ও খান ট্রেডার্সের কর্ণধার হারুন-উর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, গরমের কারণে পেঁয়াজ নষ্ট হচ্ছে বেশি। সবকিছু ধরেও প্রতি কেজি ২৫-৩০ টাকার কাছাকাছি খরচ পড়তে পারে। ভোক্তা পর্যায়ে এই পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়।