পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এরপর ২০২৪ সালে ভারতে লোকসভা নির্বাচন। অনেকেই মনে করছেন মমতাও প্রধানমন্ত্রীর দাবিদার, আর তাই ‘ভারত এবার দিদিকে চায়’ স্লোগান তুলছে মমতার দল।এবার তাদের সঙ্গে সুর মেলালেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। এক সাক্ষাৎকারে এই অর্থনীতিবিদ স্পষ্টই জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের মতে, ভারতের আগামী লোকসভা ভোটের নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে হলে দেশের আঞ্চলিক দলগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।

২০২৪-এর লোকসভা ভোট বিজেপির জেতা ম্যাচ বলে মনে করেন না অমর্ত্য। বরং তিনি তাকিয়ে রয়েছেন দেশের একাধিক আঞ্চলিক দলের দিকে। বর্ষীয়ান এ অর্থনীতিবিদ বিজেপিবিরোধী বলে পরিচিত। ২০১৪-সালে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর একাধিকবার উগ্র জাতীয়তাবাদের বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করেছেন তিনি। বিজেপির লাগাতার আক্রমণের মুখেও পড়তে হয়েছে অর্থনীতিতে নোবেলজয়ী এ অর্থনীতিবিদকে। এরই প্রেক্ষিতে সাক্ষাৎকারে ফের জোর গলায় বিজেপিকে হারাতে আঞ্চলিক দলগুলোর গুরুত্বের কথা বললেন তিনি।

অমর্ত্য সেন জানিয়েছেন, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা আছে। কিন্তু দেখতে হবে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কী করে বিজেপির বিরুদ্ধে জন অসন্তোষকে কাজে লাগাতে পারেন। এমনটাই মনে করছেন এ নোবেলজয়ী ভারতীয় অর্থনীতিবিদ।

তিনি বলেন, ‘‘আমার মনে হচ্ছে, একাধিক আঞ্চলিক দল আগামী দিনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে। আমার মনে হয়, ডিএমকে একটি গুরুত্বপূর্ণ দল, তৃণমূলও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সমাজবাদী পার্টির ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। কিন্তু আমি জানি না, এই মুহূর্তে তারা কী অবস্থায় রয়েছে।’’

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন? এমন প্রশ্নের জবাবে অমর্ত্য বলেন, ‘‘এমন নয় যে তার এটা করার যোগ্যতা নেই। এটা খুব স্পষ্ট, তার সেই ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু অন্য দিকে, এটা এখনও প্রতিষ্ঠিত নয় যে মমতা বিজেপির বিরুদ্ধে জনগণের হতাশার জায়গাগুলোকে এক ছাতার তলায় এনে ভারতে বিভেদের রাজনীতির অবসান ঘটাতে নেতৃত্ব দেবেন।