ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে গত ৩ দিনের জাতিগত দাঙ্গায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। রাজধানী ইম্ফলের স্থানীয় নির্ভরযোগ্য সংবাদ পত্রগুলো অন্তত ১১ জন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে।
সরকারিভাবে যদিও মৃতের সংখ্যা এখনও জানানো হয়নি, তবে রাজ্যে চলমান সহিংসতায় এই প্রথম প্রাণহানির কথা স্বীকার করল রাজ্য সরকার।
সেনাবাহিনী এবং কেন্দ্র-রাজ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষকে উপদ্রুত এলাকাগুলো থেকে সরিয়ে নিয়ে গেছেন বলে শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন মণিপুর রাজ্য পুলিশের মহাপরিদর্শক পি ডউঙ্গেল।
এছাড়া মণিপুর থেকে এক হাজারেরও বেশি মানুষ পার্শ্ববর্তী রাজ্য আসামের কাছাড় জেলায় আশ্রয় নিয়েছেন বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন কাছাড়ের এসপি।
রাজ্যটিতে মূলত ৬০ শতাংশ মানুষই আদিবাসী সম্প্রদায়ের। ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি, মণিপুরে মেতাই সম্প্রদায়কে আদিবাসী তফসিলি উপজাতি হিসাবে স্বীকৃতি দেয়ার প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সম্প্রদায়টি বিগত ১০ বছর ধরে আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল।
মেতাইদের যাতে আদিবাসী স্বীকৃতি দেয়া না হয়, তারই দাবিতে বুধবার (০৩ মে) রাজ্যটির চূড়াচাঁদপুর জেলায় মিছিল বের করে আদিবাসী ছাত্র সংগঠন এটিএসইউএম। আদিবাসীদের দাবি, মেতাইদের তফসিলি স্বীকৃতি দিলে মণিপুরের প্রকৃত আদিবাসীদের অধিকার ক্ষুণ্ণ হবে।
পুলিশের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বুধবারের মিছিল থেকেই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এরপর মণিপুরের বিভিন্ন জেলায় দুই জনগোষ্ঠীর মধ্য সেই সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
সেনাবাহিনী ও কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনী শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষকে উপদ্রুত এলাকাগুলো থেকে সরিয়ে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের পুলিশ মহানির্দেশক পি ডউঙ্গেল। প্রায় এক হাজার জন মণিপুর থেকে আসামের কাছাড় জেলায় আশ্রয় নিয়েছে।