আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে বেশকিছু অসম চুক্তি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতাকে।
ভারতের সঙ্গে হওয়া সব ধরনের অসম চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারতীয়রা অনেক সময় মাদক তৈরি করে। সেখানে তারা ফেন্সিডিল তৈরি করে আমাদের দেশে ঢুকিয়ে দেয়। তারা ফেন্সিডিলগুলো ওষুধ হিসেবে বানাচ্ছে বললেও আসলে এটা মাদক হিসেবেই বানানো হয়।

তিনি বলেন, সীমান্তে হত্যা বন্ধ করা, বর্ডার লাইনের ১৫০ গজের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া বা কোনো নির্মাণ কাজ নিয়ম মেনে করা, ভারতের গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ না করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হবে।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, অভিন্ন নদীর পানি প্রত্যাহার, ভারত থেকে বাংলাদেশের ফেনী অঞ্চলে আসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বন্ধের প্রস্তাবও দেওয়া হবে।

আগামী ১৭ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি ভারতের নয়াদিল্লিতে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চার হাজার ১৫৬ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে তিন হাজার ২৭১ কিলোমিটার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করেছে ভারত। সম্প্রতি সীমান্তের কয়েকটি অংশে ভারতের বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং স্থানীয় মানুষজনের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।