আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে এ বছর ভারতে এক হাজার ২০০ টন ইলিশ রপ্তানি করবে বাংলাদেশ। রপ্তানির জন্য এরই মধ্যে ৩৭ প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ অনুমতি সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে। এরআগে ৮ সেপ্টেম্বর এক আদেশে ইলিশ রপ্তানির নীতিগত সিদ্ধান্ত জানায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রের পরিপ্রেক্ষিতে আসন্ন দুর্গাপূজা ২০২৫ উপলক্ষে ইলিশ মাছ রপ্তানি বিষয়ে প্রাপ্ত আবেদনসমূহ যাচাইবাছাই করে শর্ত সাপেক্ষে নিম্নোক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহকে তাদের নামের পার্শ্বে বর্ণিত নির্ধারিত পরিমাণ ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি অনুমতি নির্দেশক্রমে প্রদান করা হলো:
এগুলো হলো- রপ্তানি নীতি ২০২৪-২৭ এর বিধি-বিধান অনুসরণ করতে হবে। অনুমতির মেয়াদ ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে শুল্ক কর্তৃপক্ষ রপ্তানিযোগ্য পণ্যের যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে।
এছাড়া পরবর্তী আবেদনের ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী অনুমোদিত পরিমাণ থেকে প্রকৃত রপ্তানির পরিমাণ সংক্রান্ত সকল তথ্য প্রমাণ দাখিল করতে হবে। তবে অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বেশি মাছ রপ্তানি করা যাবে না।
এর আগে, গত বছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রথমে ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পরে সেটি কমিয়ে ২ হাজার ৪২০ টন করা হয়। সেই তুলনায় এবার অর্ধেক ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছর অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগামী ৫ অক্টোবরের মধ্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করতে বলেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। অনুমোদনপত্রে বলা হয়েছে, শুল্ক কর্তৃপক্ষ রপ্তানি পণ্যের যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। অনুমোদিত পরিমাণের বেশি রপ্তানি করা যাবে না। অনুমতিপত্র হস্তান্তরযোগ্য নয়। সরকার প্রয়োজনে যেকোনো সময় এই রপ্তানির অনুমতি বাতিল করতে পারবে।
ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো খুলনার আরিফ সি ফুডস, বিশ্বাস এন্টারপ্রাইজ, লোকজ ফ্যাশান ও মাশফি অ্যান্ড ব্রাদার্স, চট্টগ্রামের জেএস এন্টারপ্রাইস ও আনরাজ ফিশ প্রোডাক্টস, যশোরের লাকী এন্টারপ্রাইজ, এমইউ সি ফুডস, লাকী ট্রেডিং, রহমান ইমপেক্স ফিস এক্সপোর্ট, মোহাতাব অ্যান্ড সন্স, জনতা ফিস, বিশ্বাস ট্রেডার্স ও কেবি এন্টারপ্রাইজ, ঢাকার ভিজিল্যান্ড এক্সপ্রেস, স্বর্ণালী এন্টারপ্রাইজ, মাজেস্টিক এন্টারপ্রাইজ ও বিডিএস করপোরেশন, বরিশালের মাহিমা এন্টারপ্রাইজ, নাহিয়ান এন্টারপ্রাইজ, এ আর এন্টারপ্রাইজ ও তানিসা এন্টারপ্রাইজ, পাবনার নোমান এন্টারপ্রাইজ, রুপালী ট্রেডিং করপোরেশন, সেভেন স্টার ফিস প্রসেসিং কোং, ন্যাশনাল অ্যাগ্রো ফিশারিজ, আরফি ট্রেডিং করপোরেশন, জারিফ ট্রেডিং করপোরেশন, জারিন এন্টারপ্রাইজ, ফারিয়া ইন্টারন্যাশনাল ও সততা ফিস, ভোলার রাফিদ এন্টারপ্রাইজ, সাতক্ষীরার মা এন্টারপ্রাইজ ও সুমন ট্রেডার্স।