আমদানির অনুমতি পাওয়ার প্রথম দিনেই ভারত থেকে ১৪শ টনের বেশি পেঁয়াজ এসেছে। এর ফলে বাজারে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। সোমবার (৫ জুন) সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশের তিনটি স্থলবন্দর দিয়ে এসব পেঁয়াজ দেশ ঢোকে। একদিন আগে রোববার (৪ জুন) দেশি পেঁয়াজ ৯০-৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও তা সোমবার (৫ জুন) ৬৫-৭০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
দীর্ঘ আড়াই মাস পর এদিন ভারত থেকে মোট ১৪৬০ টন পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করেছে। এরমধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ১ হাজার ৯৭ টন, সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ৩০০ টন ও দিনাজপুরের হিলি দিয়ে ৬৩ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। বিষয়টি স্থলবন্দরগুলোর কাস্টমস কর্মকর্তা ও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো নিশ্চিত করেছে।
এতদিন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় দেশের বাজারে এর দাম অনেক বেড়ে যায়। স্থানভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৮৫ থেকে ১০০ টাকায়। পেঁয়াজের ঝাঁজে দিশেহারা হয়ে পড়েন ক্রেতারা। তবে পুনরায় আমদানি শুরু হওয়ার খবরে পেঁয়াজের দাম এখন স্থানভেদে ১০ থেকে ২৫ টাকা কমেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর ২ লাখ ৪১ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করার পর উৎপাদন হয়েছে ৩৪ লাখ টন। প্রতিকূল আবহাওয়াসহ নানা কারণে প্রায় ৩৫ শতাংশের মতো পেঁয়াজ নষ্ট হলেও বর্তমানে মজুদ আছে প্রায় ১৮ লাখ টন। সে হিসেবে পেঁয়াজের সংকট হওয়ার কথা নয়। তবুও এক মাসের ব্যবধানে বাজারে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়ে কেজিতে প্রায় ১০০ টাকায় ঠেকেছিল।
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য মতে, গত বৃহস্পতিবারও (১ জুন) খুচরা বাজারে ৮০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। তাদের বাজার পর্যালোচনার তথ্য মতে, এক মাসে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১২১.৪৩ শতাংশ। গত বছর এই সময় বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৩৮ থেকে ৫০ টাকায় অর্থাৎ এক বছরে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৭৬.১৪ শতাংশ।