বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শহীদ আবদুস সালামের নিজ জেলা ফেনীতে তাঁর নামে প্রতিষ্ঠিত জাদুঘরের এখন জীর্ণদশা। ভাষার মাস এলে জাদুঘরটি কিছুটা প্রাণ ফিরে পেলেও বাকি সময় থাকে অবহেলিত। সেখানে নেই এই ভাষা শহীদের তেমন কোন স্মৃতিচিহ্নও। ভাষা আন্দোলন এবং ভাষার জন্য শহীদদের সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানাতে জাদুঘরটিকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি আবদুস সালামের নামে এলাকায় আরও প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার দাবি স্থানীয়দের।
বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনের প্রসঙ্গ এলে অবধারিতভাবে যাদের নাম মনে আসে শহীদ আবদুস সালাম তাদের একজন। ১৯২৫ সালের ২৭শে নভেম্বর ফেনীর দাগনভুঁঞা উপজেলার লক্ষণপুর গ্রামে জন্ম আবদুস সালামের। মাতৃভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় রাজপথের আন্দোলনে প্রাণ হারানো এই ভাষা শহীদের নামে তাঁর নিজ এলাকায় রয়েছে একটি গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর।
তবে, ২০০৮ সালে উপজেলার মাতুভুঞা ইউনিয়নের সালামনগর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত জাদুঘরটি কেবল নামেই জাদুঘর। পুরাতন কিছু বই আর আসবাব ছাড়া কিছুই নেই সেখানে। এমনকি যার নামে এই জাদুঘর সেই সালামের একটি ছবি ছাড়া নেই কোন স্মৃতিচিহ্ন।
ভাষা শহীদ সালামের সম্পর্কে জানতে এই জাদুঘরে এসে তাই হতাশ হয়ে ফিরতে হয় দর্শনার্থীদের।
এমনকি, জাদুঘর সংলগ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাইনবোর্ডে ভাষা শহীদ সালাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় লেখা থাকলেও কাগজে কলমে বিদ্যালয়টির নাম লক্ষণপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।
নতুন প্রজন্মকে শহীদ আবদুস সালাম সম্পর্কে জানাতে গ্রন্থাগার ও জাদুঘরে তাঁর সম্পর্কে লেখা বই ও স্মৃতিচিহ্ন রাখা উচিত বলে মনে করেন স্থানীয়রা।