বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় স্ত্রীকে দুই ভাড়াটে খুনির সহায়তায় হত্যা করে লাশ রাস্তার পাশে ফেলে যাওয়ার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন স্বামী।

শুক্রবার রাত ৯টার দিকে বরিশালের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্ত্রী রাশিদা বেগমকে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন তামিম শেখ।

গত বুধবার রাত দেড়টার দিকে ১০ মাসের এক শিশুর কান্না শুনে পাশে থাকা মায়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাজাহারুল ইসলাম বলেন, রাশিদার বড় ভাই আল আমিন বৃহস্পতিবার একটি হত্যা মামলা করেন। ঐ রাতেই পুলিশ গোপালগঞ্জ সদর থেকে রাশিদার স্বামী তামিম শেখকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তামিম দুই সহযোগীর নাম প্রকাশ করেন। পরে শুক্রবার দুপুরে পুলিশ গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ও সদরে অভিযান চালিয়ে ঐ দুজনকে গ্রেফতার করে।

তারা হলেন- কোটালীপাড়ার তারাশি গ্রামের রুবেল দাড়িয়া ও সদরের বেতগ্রামের মাহিন্দ্রচালক জুলহাস শেখ। এছাড়া হত্যায় ব্যবহৃত হাতুড়ি, দেশি ধারালো অস্ত্র, চারটি মুঠোফোন, রক্তমাখা জামাকাপড়, জুতা ও একটি মাহিন্দ্র উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার রাতে তিনজনই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

আসামিদের জবানবন্দির বরাতে তদন্ত কর্মকর্তা মাজাহারুল ইসলাম বলেন, দাম্পত্য কলহের জেরে রাশিদা বেগমকে তার স্বামী হত্যা করেন। গোপালগঞ্জের গান্দিয়াসুর-বাজুনিয়া সড়কের পাশে টুঠামান্দ্রা মাছের ঘেরে হত্যার পর আগৈলঝাড়ায় রাস্তার পাশে লাশ ফেলে যান।

১০ মাসের ছেলেকে নিয়ে রাশিদা বেগম আগৈলঝাড়া সদরের বাকাল গ্রামে থাকতেন আর প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে গোপালগঞ্জে থাকতেন তামিম শেখ।