পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন নৌপথে যাত্রী কমে গেছে। প্রতিদিন অনেক কেবিন খালি যাচ্ছে। ফলে কমানো হয়েছে লঞ্চের সংখ্যাও। বিলাসবহুল অনেক লঞ্চ বসে আছে ঘাটে। ভাড়া কমিয়েও যথেষ্ট যাত্রী পাচ্ছে না লঞ্চ মালিকরা। এতে ব্যস্ত সদরঘাট টার্মিনালের চিরচেনা দৃশ্য বদলে গেছে।
চিরচেনা ব্যস্ত সদরঘাট টার্মিনালের চেহারাটাই যেন বদলে গেছে এ কয়েকদিনে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে দক্ষিণাঞ্চলে যাতায়াত করা বিভিন্ন রুটের লঞ্চের যাত্রী কমেছে। সারি সারি লঞ্চ ঘাটে নোঙ্গর করা। হাঁক-ডাক করেও যাত্রী মিলছে না। যাত্রী বেশি কমেছে ঢাকা থেকে বরিশাল, ঝালকাঠি, ভান্ডারিয়া, বরগুনা, পটুয়াখালী রুটে। অন্য সময়ের চেয়ে টিকেট বিক্রি হচ্ছে অর্ধেকেরও কম।
ঘোষণা ছাড়াই লঞ্চগুলোর ভাড়া কমানো হয়েছে। ডেকের ভাড়া ১০০-১৫০ টাকা এবং সিঙ্গেল কেবিনের ভাড়া ৪০০-৬০০ টাকা এবং ডাবল কেবিনের ভাড়া ৬০০-৮০০ টাকা কম নেওয়া হচ্ছে।) এতেও আশানুরূপ যাত্রী মিলছে না বলে জানিয়েছেন লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। তবে চাঁদপুর ও ভোলা রুটে যাত্রী কমেনি। পদ্মা সেতু দিয়ে ভোলা যাওয়ার চেয়ে লঞ্চে সময় কম লাগে তাই এই পথে যাত্রী আগের মতই থাকবে।
বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ বলছে, পদ্মাসেতু চালুর আগে সদরঘাট থেকে ৪১ রুটে প্রতিদিন ৭৫টি লঞ্চ ছেড়ে যেতো। এখন যাচ্ছে ৫০ থেকে ৬০টি লঞ্চ। লঞ্চের ওপর কতটা প্রভাব পরে তা দেখা সেই অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষে নেয়া হবে বলে জানান লঞ্চ মালিকরা।