ভুলবশত হামাসের হাতে আটক তিন জন জিম্মিকে হত্যা করেছে ইসরাইলি সেনারা। নিহতরা হলেন ইয়োতাম হাইম (২৮), সামের তালালকা (২২) এবং অ্যালোন শামরিজ (২৬)।

বৃহস্পতিবার গাজার উত্তরাংশে শেজাইয়া এলাকায় হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘাতের সময় স্থলবাহিনীর সেনাদের গুলিতে এই তিনজন নিহত হয়েছেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

কী কারণে এই ভুল ঘটল, তা বের করতে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করা হয়ছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে আইডিএফ আরও বলেছে, ‘নিহতদের পরিবারের প্রতি আইডিএফের পক্ষ থেকে গভীর শোক জানানো হচ্ছে। আমাদের এই অভিযানের লক্ষ্য সব জিম্মিকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনা।’

বিবিসি বলছে, গাজায় শেজাইয়া এলাকায় অপারেশন চালানোর সময় তিন জিম্মিকে তারা হুমকি বলে মনে করেছিল। এ সময় গুলি করে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে। তারা হলো ইয়োতাম হাইম (২৮), সামের তালালকা (২২) এবং অ্যালোন শামরিজ (২৬)। ইসরাইলি সেনাবাহিনীর হিসাবে এখনও গাজায় জিম্মি আছে কমপক্ষে ১০০ মানুষ। আইডিএফ বলেছে, শুক্রবার গুলি করে ওই তিন জিম্মিকে হত্যার ঘটনায় তদন্ত চলছে। এই বিয়োগান্তক ঘটনায় তারা গভীর শোক প্রকাশ করেছে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সহমর্মিতা প্রকাশ করেছে।

বিবৃতিতে আইডিএফ বলেছে, আমাদের মিশন হলো নিখোঁজ ব্যক্তিদের শনাক্ত করা এবং তাদের সবাইকে দেশে ফিরিয়ে আনা।

এই ঘোষণার পর কয়েক হাজার মানুষ তেল আবিবের কেন্দ্রস্থলে সমবেত হয় এবং তারা ওই শহরে সামরিক ঘাঁটির দিকে অগ্রসর হয়। বাকি জিম্মিদের নিরাপদে উদ্ধারের দাবি জানায় তারা। প্রতিবাদকারীরা হাতে মোতবাতি নিয়ে র‌্যালিতে অংশ নেন। হাতে ছিল প্লাকার্ড। তাতে লেখা- জিম্মিদের ফিরিয়ে আনুন। এখনই জিম্মি বিনিময় করুন।

ওদিকে গুলিতে নিহত তিন ব্যক্তির মৃতদেহ ইসরাইলে পৌঁছেছে। চেকপয়েন্টে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। এর মধ্যে ইয়োতাম হাইম ছিলেন একজন মিউজিশিয়ান। পছন্দ করতেন জীবজন্তু। রান্না করতেন ইতালিয়ান খাবার। ৭ই অক্টোবর হামাসের রকেট হামলার দিন সকালে তিনি পরিবারের সদস্যদের ফোন করে বলেছিলেন, তার ঘরে আগুন জ্বলছে। যখন বাতাসের জন্য তিনি জানালা খোলেন, তখন তাকে অপহরণ করে হামাস।

বিবিসিকে তার মা বলেছেন, মৃত্যুর আগে সে হামাসের গোপন আশ্রয় থেকে নিয়মিত বার্তা বিনিময় করতো।
হামাসের হামলার সময় কাফার আজা এলাকায় অবস্থান করছিলেন অ্যালোন শামরিজ। সামের তালালকা একজন বেদুইন। তাকে অপহরণ করা হয় কিব্বুটজ নির অ্যাম এলাকা থেকে।