অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টাকালে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবে অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া অন্তত দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, নৌকাটিতে অন্তত ৫৭ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী ছিলেন। দু’জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজদের সন্ধানে এখনও উদ্ধার তৎপরতা চালানো হচ্ছে। তবে জীবিত পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেও জানান ফাওজি মাসমুদি।

রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ডুবে যাওয়া নৌকার ১১ জন যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। পরে মরক্কো জানিয়েছে সোমবার পাঁচজন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করেছে। তারা সেনেগালের নাগরিক।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উন্নত জীবনের আশায় ইউরোপে প্রবেশের ক্ষেত্রে অভিবাসী ও শরণার্থীরা তিউনিসিয়াকে একটি অন্যতম পথ হিসেবে বেছে নিয়েছে। কিন্তু খুব অল্প সংখ্যক মানুষ গন্তব্য পৌঁছাচ্ছে। বরং বেশিরভাগই আটক হচ্ছে, আবার অনেকে জাহাজ বা নৌকাসহ ডুবে মারা যাচ্ছে। তবুও থেমে নেই ভয়ংকর এই সমুদ্রযাত্রা। ভাগ্যান্বেষণের জন্য প্রতিবছর এই রুট ব্যবহার করছে অনেক আফ্রিকান।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৪ থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপের যাওয়ার চেষ্টায় এ পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।

অপরদিকে তিউনসিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ৯০১ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে দেশটির নৌপুলিশ। ভূমধ্যসাগরে হয়ে ইউরোপ যাওয়ার পথে চলতি বছর দেড় হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।