দেশে ভূমিকম্পের বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল সিলেট। ভূতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের মতে ভারত ও মিয়ানমারের টেকটনিক প্লেটের মধ্যবর্তী স্থানে থাকায় সিলেটে বড় ভূমিকম্পের ঝুঁকি বেশি। এর ওপর সিলেটে অপরিকল্পিত নগরায়ন ঝুঁকি আরো বাড়িয়েছে। তাই ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের।
সিলেট থেকে দু’শ কিলোমিটার দূরে ডাউকি ফল্টের অবস্থান। সক্রিয় এ ফল্টের কারণে বিভিন্ন সময়ে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে সিলেট। সাত মাত্রার ভূমিকম্প হলেই সিলেটের ৪২ হাজার বহুতল ভবনের ৮০ শতাংশই ধসে পড়বে, এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
সিলেটে ৮ দশমিক ৭ মাত্রার বড় ভূমিকম্পের ইতিহাস আছে ১৮৯৭ সালে। সম্প্রতি তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর আরও কিছু ভূকম্পন হয় আশপাশের দেশ ও অঞ্চলে। সম্প্রতি সিলেটেও মৃদু ভূ-কম্পন অনুভূত হয়েছে।
ভারত ও মিয়ানমারের টেকটনিক প্লেটের কিনারে অবস্থান করায় সিলেটে ভূমিকম্পের ঝুঁকিও বেশি বলে জানালেন, সিলেট অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজিব হোসাইন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূমিকম্পের ঝুঁকি কমাতে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমাতে হবে। এছাড়া ইমারত বিধি মেনে ভবন নির্মাণ করা হলে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি অনেক কমানো সম্ভব বলে মনে করেন সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক জহির বিন আলম।
এদিকে ভূমিকম্প মোকাবেলায় স্বেচ্ছাসেবীদের প্রশিক্ষণ, জলাধার সংরক্ষণসহ উদ্ধার কাজের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি সংগ্রহের ওপর জোর দিলেন সিলেট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক মনিরুজ্জামান ও সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ বদরুল হক।
২০২১ ও ২০২২ সালে সাত দফা ভূমিকম্প হয় সিলেটে। তখন ঝুঁকিপূর্ণ ২৩টি ভবনের তালিকা করে ৬টি বিপণিবিতান বন্ধ করে দিয়েছিলো সিলেট সিটি কপোরেশন কর্তৃপক্ষ।