তুরস্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্পে প্রাণহানির সংখ্যা ৪৬ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে শুধু তুরস্কে প্রাণ হারিয়েছেন ৪০ হাজার ৬৪২ জন। আর সিরিয়ায় ৫ হাজার ৮০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহত হয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ।
দেশ দুটিতে ৮৪ হাজারের বেশি ভবন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে আশ্রয়শিবির গড়ে তোলা হয়েছে। আর এসব শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে লাখ লাখ মানুষ। উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে। এবং ভূমিকম্পের ১৩ দিন পরও ধ্বংসস্তূপে প্রাণের সন্ধান মিলছে।
তুরস্কের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঘটনা এবারের ভূমিকম্প। পরিস্থিতি সামাল দিতে আপ্রাণ চেষ্টা করছে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের সরকার। অন্যদিকে, সিরিয়ায় প্রয়োজনের তুলনায় মানবিক সহায়তা কম পৌঁছাচ্ছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী-ডব্লিউএফপি’র পরিচালক ডেভিড বিসলে জানিয়েছেন, সিরিয়া ও তুরস্ক সরকার আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করছে। তবে সিরিয়ায় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে তাদের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সংস্থাটি তুরস্ক থেকে আরও সীমান্ত ক্রসিং খোলার আহ্বান জানিয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ভূমিকম্পের ফলে আশ্রয়হীন মানুষগুলোর স্বাস্থ্যগত সংকট বেড়ে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে।