দেশে ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম বাড়ানো হয়েছে। রোববার (তেসরা সেপ্টেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে দাম বাড়ানোর এ ঘোষণা দেয় বিইআরসি। আজ সন্ধ্যা ছয়টা থেকে কার্যকর হয়েছে ঘোষিত নতুন দর।
সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসি চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমিন বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাড়ে পাঁচ কেজি বোতলজাত এলপিজির দাম ৫৮৯ টাকা, সাড়ে ১২ কেজির দাম এক হাজার ২৮৪ টাকা, ১৫ কেজির দাম এক হাজার ৬০৫ টাকা, ১৬ কেজির দাম এক হাজার ৭১২ টাকা, ১৮ কেজির দাম এক হাজার ৯২৬ টাকা, ২০ কেজির দাম এক হাজার ১৪০ টাকা, ২২ কেজি দুই হাজার ৩৫৫ টাকা, ২৫ কেজি দুই হাজার ৬৭৫ টাকা, ৩০ কেজি তিন হাজার ২১০ টাকা, ৩৩ কেজি তিন হাজার ৫৩১ টাকা, ৩৫ কেজি তিন হাজার ৭৪৫ টাকা এবং ৪৫ কেজির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে চার হাজার ৮১৫ টাকা।
সংস্থাটি প্রতি মাসেই এলপিজির দাম নির্ধারণ করে। এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এই দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো।
এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি।
বিইআরসির নতুন দর বলছে, বেসরকারি এলপিজির মূল্য সংযোজন করসহ (মূসক/ভ্যাটসহ) দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি প্রায় ১০৭ টাকা ১ পয়সা, যা গত মাসে ছিল ৯৪ টাকা ৯৬ পয়সা। এই হিসাবে বিভিন্ন আকারের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারিত হবে।
তবে সরকারি কোম্পানির সরবরাহ করা এলপিজির দাম বাড়ানো হয়নি। আর গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির (অটো গ্যাস) নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার প্রায় ৫৮ টাকা ৮৭ পয়সা, যা এত দিন ছিল ৫২ টাকা ১৭ পয়সা।