আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে চায়। দেশবাসীকে ভোটের মাধ্যমে তাদের সমুচিত জবাব দেবার আহ্বান জানান তিনি। বিএনপি ভোট চুরি করতে পারবে না বলে নির্বাচনে আসেনি বলেও দাবি করেন তিনি।

সোমবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর কলাবাগান মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমার একমাত্র শক্তির উৎস হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ। তাদের জন্য আমি আমার বাবার মতো জীবন উৎসর্গ করে পথে নেমেছি। গোলা-বারুদ, বোমা-গ্রেনেড হামলা কোনো কিছুই আমাকে বাধা দিতে পারেনি। আমার একটি প্রত্যয় ছিল যে, এ দেশের মানুষের মুখের অন্ন জোগাবো। কেউ না খেয়ে কষ্ট পাবে না।

তিনি বলেন, আমরা ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছি। নির্বাচন কমিশনকে আমরা স্বাধীন করে দিয়েছি। কারণ, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। যেহেতু গণতন্ত্র অব্যাহত রয়েছে, তাই মানুষ শান্তিতে আছে। মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি হয়েছে। তাই আমাদের ভোট চুরির প্রয়োজন হয় না।

তিনি আরও বলেন, আমরা মানুষের হৃদয় জয় করে তাদের ভোট পাই, চুরির প্রয়োজন হয় না। তারা (জিয়া-এরশাদ) ভোট চুরি করে, এটা আমার কথা না। হাইকোর্টের রায় আছে—জিয়ার ক্ষমতা দখল অবৈধ, এরশাদের ক্ষমতা দখল অবৈধ।

বিএনপিকে খুনি আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, বিএনপির চুরি-দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের কারণে জনগণ তাদের ২০০৮ সালে প্রত্যাখ্যান করেছে। জ্বালাও-পোড়াও, মানুষ খুন করা তারা শুধু এটাই জানে। এখন আবার নির্বাচন বানচাল করতে চায়।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সমালোচনা করে সরকারপ্রধান বলেন, শুনেছি, সে নাকি ক্যাসিনো থেকে টাকা কামাই করে৷ জুয়া খেলে টাকা কামাই করে সে টাকা দিয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।

২০১৮ সালে বিএনপি নির্বাচনে এলেও মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে ক্ষমতায় আসতে পারেনি বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। দলটিকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে, তারা আন্দোলনেও সফল হতে পারবে না বলে মনে করেন সরকারপ্রধান। নির্বাচন ঠেকানোর ক্ষমতা বিএনপির নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, একমাত্র শক্তির উৎস বাংলাদেশের জনগণ। বাবার মতো জীবন উৎসর্গ করতে আমি প্রস্তুত। বোমা-গ্রেনেড কিছুই আমাকে থামাতে পারবে না।

আওয়ামী লীগ সভাপতি রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের চিত্র তুলে ধরেন। এসব উন্নয়নের কারণে ঢাকাবাসী আবারও আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে ভোট দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন টানা তিন মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী।

বক্তৃতা শেষে ঢাকা মহানগরীতে আওয়ামী লীগ মনোনীত ১৫টি আসনে নৌকার প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন দলীয় প্রধান। তাদের ‘রত্ন’ আখ্যায়িত করে বলেন, ঢাকাবাসীর জন্য ১৫টি রত্ন দিয়েছি।